কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
ব্রহ্মপুত্র নদে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ না থাকায় চিলমারী নদী বন্দরের অভ্যন্তরীণ নৌরুট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে নৌপথের যাত্রীসহ বিপাকে পড়েছেন নৌ পরিবহন চালকরা। তবে যানবাহন চালকদের বিকল্প নৌরুট ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, চিলমারী নদীবন্দর থেকে রাজিবপুর, রৌমারী, কর্তিমারী, কোদালকাটি, অষ্টমীরচর, নয়ারহাট এবং চিলমারী ইউনিয়নে ৯টি ইঞ্জিনচালিত মালবাহী ও যাত্রীবাহী নৌকা নিয়মিত চলাচল করে। চলতি মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন চ্যানেলের নাব্যতা হ্রাসের ফলে অসংখ্য ডুবোচর জেগে ওঠায় অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নৈশকালীন নৌযানগুলোকে পড়তে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। এর ফলে জ্বালানি খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি অতিরিক্ত সময়ও ব্যয় হচ্ছে।
নৌকার মাঝি আব্দুল মালেক, হাফিজুর রহমানসহ অনেকে জানান, চিলমারী নদীবন্দর থেকে রৌমারী, রাজীবপুর, বাহাদুরাবাদ ঘাট ও গাইবান্ধা যাওয়ার পথে প্রায় ২ শতাধিক স্থানে ডুবোচর জেগে উঠেছে। এর ফলে নৌযানগুলো আটকে যাচ্ছে বিভিন্ন চরে।
নৌমালিকরা বড় বড় ডুবোচরগুলো চিহ্নিত করে চিলমারী নদী বন্দরের অভ্যন্তরীণ নৌরুটে ড্রেজিং করার দাবি জানান। তা না হলে এ নৌরুট বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে ঘাট মাস্টার লিপু জানান, বিড়ম্বনা এড়াতে নৌচালকদের বিকল্প পথ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড