সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়াসহ দেশের ছয় স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফের ভারতীয় কয়লা আমদানি শুরু হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় উচ্চ আদালত ও সেখানকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সচিব রাজেশ তালুকদার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভারতের রপ্তানিকারক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফের কয়লা রফতানির বিষয়টি সে দেশের উচ্চ আদালত থেকে আদেশপ্রাপ্ত হয়েছেন। পরে তারা তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপকে অবহিত করেন। শনিবার দুই সংগঠনের নেতৃবৃন্দের যৌথ বৈঠকের পর সোমবার থেকে আবারও কয়লা আমদানি শুরু হবে।
ভারতীয় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত শুধু মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের তিন শুল্ক স্টেশনই নয়, সিলেটের তামাবিল, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া এবং কড়ইতলীসহ একযোগে দেশের ছয় স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়েই ভারতীয় কয়লা আমদানি শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, ভারতের মেঘালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন ডিমাহাসাও জেলা ছাত্র ইউনিয়নের মামলার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল সে দেশের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) আদালত মেঘালয় সরকারকে অপরিকল্পিতভাবে কয়লা খনন ও পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেন। একই বছরের ৬ মে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় মুখ্যসচিব মেঘালয় রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসককে ওই নির্দেশনা কার্যকর করতে বলা হয়। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ২০১৪ সালের ১৩ মে থেকে মেঘালয়ের সীমান্ত জেলাগুলোয় ১৪৪ ধারা জারি করে কয়লা পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শুল্কবন্দর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া-চারাগাঁও, বাগলী, সিলেটের তামাবিল, ময়মনসিংহের গোবড়া এবং কড়ইতলীসহ ছয় শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভাতের মেঘালয় থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভারতীয় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আইনি লড়াই করে প্রথমে ২০১৫ সালে উত্তোলিত কয়লা ৩ মাস এবং ওই সময়সীমা সময় ৫ দফা বাড়িয়ে গত ৫ বছরে প্রায় ২১ মাস উত্তোলিত কয়লা রপ্তানি করার সুযোগ পান।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড