এম. কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
পূর্বে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় কাপ্তাই হ্রদের বিশাল নীল জলরাশি। দক্ষিণ-পশ্চিমে চট্টগ্রাম শহর, বন্দরে ভাসমান জাহাজের মাস্তুল। সঙ্গে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত এক লহমায় দেখে নেওয়ার যোজনা। নৈসর্গিক এ সৌন্দর্যের সবটুকু মিলবে রাঙামাটি শহরতলীর ফুরামন পাহাড়ের চূড়ায়। তখন আপনি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫১৮ ফুট উচ্চতায়! কিন্তু সম্মোহনী এ সৌন্দর্যের কথা শহরবাসী যেমনি জানে না, তেমনি পর্যটকদের কাছে এখনও অপরিচিতই রয়ে গেছে।
ফুরামন পাহাড়ের পরিচিতি তুলে ধরতে ও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ফুরামন পাহাড়ে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক অভিযাত্রা দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে উদ্যোগটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। স্থানীয় সাপছড়ি উচ্চবিদ্যালয় হতে অভিযাত্রা শুরু হবে। এতে অংশ নেওয়া ৩৩ অভিযাত্রীর তিন পার্বত্য জেলার ২১ জন ও দেশের অন্য জেলা হতে ১২ জন।
কাপ্তাই হ্রদ
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ‘ফুরামন ট্রেকিং অ্যাক্সপিডিশন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উদ্যোক্তা সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা।
এতে বলা হয়, ‘ফুরামনকে ট্রেকিং ডেস্টিনেশন বানানোই মূল উদ্দেশ্য। কারণ ফুরোমন উন্নয়ন হলে পুরো রাঙামাটির উন্নয়ন হবে। পর্যটনে রাজত্ব করবে রাঙামাটি’। এর মধ্য দিয়ে সম্ভাব্য পর্যটন খাতের প্রচার ও প্রসার, পার্বত্য অঞ্চলের সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বড় ক্ষেত্র তৈরি হবে- প্রত্যাশা উদ্যোক্তাদের। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি এলাকায় উত্তর পাশে অবস্থিত ফুরামন পাহাড় আসা-যাওয়ার পথে সবার দৃষ্টি কাড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ, সদস্য ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল রেদওয়ান-উল ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মশিউর খন্দকার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজমসহ প্রমুখ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড