আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া):
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যাত্রার নামে রাতভর চলেছে অশ্লীল ও নগ্ন নৃত্য। আর এ নৃত্য দেখতে উঠতি বয়সী যুবকদের ছিল মাতামাতি। শুক্রবার রাতে উপজেলার পার্শ্ববতী শশীধরপুর গ্রামে যাত্রার নামে চলেছে এ অশ্লীলতা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দৌলতপুর থানার ওসি।
যাত্রাপালা দেখতে আসা দর্শক ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের শশীধরপুর গ্রামে স্থানীয়দের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও যাত্রার পালার আয়োজন করা হয়। ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে যাত্রা মঞ্চে বক্তব্য রাখেন, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. এজাজ আহমেদ মামুন, দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোনালী খাতুন আলেয়া। বক্তব্য শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।
এরপর রাত ১১টায় শুরু তথাকথিত যাত্রাপালার নামে অশ্লীল ও নগ্ন নৃত্য। নৃত্যে অংশ নেয় একদল নারী। নানা অঙ্গভঙ্গির অশ্লীল ও নগ্ন নৃত্য দেখতে শিশু কিশোর থেকে উঠতি বয়সী যুবকরাও দল বেঁধে ছুটে যান যাত্রা মঞ্চের পাশে। নৃত্যের তালে তালে তারও অশ্লীলতায় মেতে উঠেন এবং নগ্ন নৃত্যে অংশ নেওয়া নারীদেরকে লক্ষ্য করে ছুড়তে থাকেন তারা। আর তা চলে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত।
যাত্রার নামে এমন অশ্লীলতা দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সালাউদ্দিন নামে স্থানীয় এক অভিভাবক বলেন, নগ্ন পোশাকে এমন নৃত্য দেখে আমি নিজেই হতবাক। ছেলে মেয়েরা দেখলে তারাতো অসামাজিক কাজে লিপ্ত হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে এসব অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ হওয়া দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তবে যাত্রাপালার নামে অশ্লীল নৃত্যের কথা অস্বীকার করে দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, শশীধরপুর গ্রামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি ও উপজেলা চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলাম। সেখানে যাত্রার নামে অশ্লীল ও নগ্ন নৃত্য অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সঠিক নয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড