• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নীলফামারীতে ভাতার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন নার্সরা

  মোঃ রেজোয়ান ইসলাম, নীলফামারী

০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:০৩
ইন্টার্ন নার্স

নীলফামারীতে ইন্টার্নশিপ ভাতার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করেছে ৫০ জন ইন্টার্ন নার্স। দাবি পূরণ না হলে কাজে জোগ না দেওয়ার কথা জানান তারা। কর্মবিরতির কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের।

আজ সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস অ্যাসোশিয়েশনের আয়োজনে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে কর্মবিরতি পালন করে সংগঠনটি। এতে অংশ নেন ইন্টার্ন নার্স ও ইন্টার্ন মিডওয়াইফের সেবক-সেবিকারা।

কর্মবিরতিতে বক্তারা বলেন, এই হাসপাতালে ৪৫জন মেয়ে ও ৫জন পুরুষ ইন্টার্ন করে। এরা প্রত্যেকেই শিফটিংয়ের মাধ্যমে দিন-রাত সমানভাবে সেবা দিয়ে আসছে। সিনিয়র স্টাফ নার্স ও আমাদের কাজের কোন পার্থক্য নেই। তারা সম্মানি পেলেও আমরা নিজেদের টাকা খরচ করে হাসপাতালে ডিউটি করছি।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ আহেদুন্নবী বলেন, লিটন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাসা ভাড়া, থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, হাত খরচসহ সব মিলিয়ে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্নশিপ করা অবস্থায় বাসা থেকে টাকা এনে ইন্টার্নশিপ করাটাও আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতির পথ বেছে নিতে হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততদিন পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান ইন্টার্ন নার্সরা।

সংগঠনটির জেলা সভাপতি মোছাঃ নাজমিন নাহার বলেন, ইন্টার্ন চলাকালে আমাদের নিয়োগপ্রাপ্ত নার্সদের চেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয়। সর্বক্ষণ রোগীদের সেবা দিতে হয়। কিন্তু ভাতার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ইন্টার্নশিপ ভাতা না পাওয়ায় আর্থিকভাবে চরম সংকটে পড়েছি।

জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল-আমিন বলেন, আমাদের লগবুকের কোড অব কন্ডাক্টের ইন্টার্ন ভাতার কথা উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও আমরা কোনো ইন্টার্ন ভাতা পাচ্ছি না। সিনিয়র নার্সরা যেভাবে ডিউটি করেন আমরাও সেভাবে ডিউটি করি। বর্তমানে আমাদের কোনো হোস্টেলের সুবিধা নেই।

এদিকে চিকিৎসা নিতে আসা সদর উপজেলার সফিকুল ইসলাম বলেন, নার্সদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ডিমলা থেকে আগত বেলাল হোসেন নামে এক রোগীর স্বজন জানান, রোগীর প্রয়োজনে এখানে নার্সদের পাওয়া যাচ্ছে না। নার্সদের ডাকলে তারা বলে অপেক্ষা করুন দ্রুত আমরা যাচ্ছি।

এদিকে নীলফামারী সদর হাসপাতাল নাম গোপন রাখা শর্তে কয়েকজন সিনিয়র স্টাফ নার্স বলছেন, ইন্টার্ন নার্সদের অনুপস্থিতে কাজের বাড়তি চাপ পড়ছে।

এদিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আবু-আল-হাজ্জাজ জানান, তাদের কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবায় কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না বা কোনো প্রভাব পড়বে না। হাসপাতালের চিকিৎসা প্রদান কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড