কাজী শাহরিয়ার রুবেল, আমতলী (বরগুনা)
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে লাগামহীন বৃষ্টি হচ্ছে। এক দিকে জোয়ারের পানি অন্য দিকে টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে ডুবে গেছে উপকূলীয় এলাকা। বরগুনার আমতলীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সরজমিনে দেখা গেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাহিরে বসবাসরত পরিবারগুলো বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এমন বৈরী আবহাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, পায়রা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার নিম্নাঞ্চলে ফসলের মাঠ, মাছের ঘের ও বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। উপজেলার ঘোপখালী, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম আমতলী, ফেরিঘাট ও গুলিশাখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জীবনযাপন করতে বেগ পেতে হচ্ছে জনসাধারণের।
গুলিশাখালী এলাকার জব্বার মুসল্লি বলেন, গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে এলাকার অনেক পুকুর, মাছের ঘের তলিয়ে গছে। যদি বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে তবে বাড়িঘর তলিয়ে যাবে। পুকুর ও ঘেরে মাছ রাখা সম্ভব হবে না।
ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. সজিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সূর্যের আলো দেখিনি, দেখেছি ভারী বর্ষণ। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকলে নদীর তীরে পরিবার নিয়ে বসবাস করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। নদীর পাড়ে বাড়ি এবং কাঠের ব্যবসা রয়েছে। সব মিলিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ অনবরত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড