• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ফলন ভালো হলেও পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না চাষিরা 

  এমদাদুল হক লালন, বকশীগঞ্জ, জামালপুর

০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:৫৪
পাট জাগ

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা । এতে করে ক্ষেতেই শুকিয়ে মরে যাচ্ছে পাট। বর্ষা মৌসুমেও এই অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচন্ড তাপদাহ ও বৃষ্টি না থাকায় অধিকাংশ খাল, বিল,ডোবা নালা ও জলাশয়ে পানি নেই। পর্যাপ্ত পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারায় হতাশ চাষিরা।

জানা যায়,বকশীগঞ্জ উপজেলায় পাটের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ২২ শত ৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন কৃষকরা। পাট কাটার উপযোগী হলেও পানির অভাবে বেশির ভাগ জমির পাট কাটছেন না কৃষকরা। উপজেলার সদর ইউনিয়ন, সাধুরপাড়া, নিলাক্ষিয়া, মেরুরচর, বগারচর, বাট্টাজোড় ও কামালপুর ইউনিয়ন গুলো ঘুরে দেখা গেছে কাটার উপযোগী অনেক পাট এখনো জমিতেই দাড়িয়ে আছে। পানির অভাবে পাট কাটছেন না কৃষকরা। অনেকেই আবার পাট কেটে জমিতেই ফেলে রেখেছেন বৃষ্টির আশায়। এছাড়া বন্যার পানির আশায় পাট না কেটে খেতেই রেখে দিচ্ছেন অনেক কৃষক। আবার যারা কিছু পাট কেটেছেন তাদের অনেকেই ঘোড়ার গাড়ি, অটো ভ্যান,ইঞ্জিন চালিত ভটভটি ও মহিষের গাড়িতে করে নিয়ে অন্যত্র খাল বিল কিংবা নিজস্ব পুকুরে অল্প পানিতে জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ পর্যাপ্ত পানি না পেয়ে নিচু জায়গায় জমে থাকা পানিতে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে করে ফলন ভালো হলেও পর্যাপ্ত পানির অভাবে পাটের আঁশ ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। পাটের বাজারমূল্য অনেক কম হবে বলে আশংকা করছে কৃষকেরা। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তারা।

এ ব্যাপারে মেরুরচর ইউনিয়নের জাগিরপাড়া গ্রামের কৃষক আজাহার আলী বলেন, ৬ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন তিনি। এ বছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে খাল বিল পুকুরে কোথাও পানি নেই। পানির অভাবে পাট কাটতে পারছেন না। পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। বৃষ্টি এবং বন্যার পানি না পেলে পাট ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।

বাট্টাজোড় এলাকার কৃষক সুমন মিয়া বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ অনেক কম। বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। এই সময় খাল,বিল, নদী নালা পানিতে টইটম্বুর থাকে। এবছর কোথাও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নেই। বর্ষার পানির আশায় আছি। খালে সামান্য বৃষ্টির পানি জমছে। উপায় না পেয়ে সেখানেই পাট জাগ দিতে হচ্ছে। পানির অভাবে পাটের আঁশ ছাড়ানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু বলেন, উপজেলায় এ বছর ২২ শত ৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। অন্য বছরের তোলনায় এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় খালে-বিলে পর্যাপ্ত পানি নেই। তাই কৃষক'রা পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন। তবে আমরা তাদেরকে রিবনরেটিং পদ্ধতিতে পাট পচাঁনোর পরামর্শ দিচ্ছি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড