মো. মনোয়ার হোসেন রুবেল, ধামরাই (ঢাকা)
ঢাকার ধামরাইয়ে মারামারির ঘটনায় একটি মামলায় ওয়ারেন্ট হওয়ায় বিবাদীরা রাতের আঁধারে এক বিঘা জায়গার ধরন্ত লাউগাছ কেটে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি সাধনরে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঋণের টাকা পরিশোধের কথা ভেবে কান্নায় ভেঙে পরছে ভুক্তভোগী কৃষক মো. শফি সিকদার।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম। এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মেয়ে তহিরুন আক্তার। ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের খরারচর গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- মো. জামাল (৪০) পিতা মো. আব্দুস ছালাম, মো. ফিরোজ মিয়া (৩৮) পিতা মো. শুকুর আলী, মো. সুজন মিয়া (২৩) পিতা মো. মালেক, সুফিয়া বেগম (৪২) স্বামী মো. আলেম, আশরাফ (২১) পিতার নাম জামাল, এরা সাবায় ধামরাইয়ের উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের খরারচর গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, শফি সিকদার ও ফিরোজ গংদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে কোর্টে মামলা চলছে। এরই মাঝে ফিরোজ, জামাল, সুজন, মিলে সেই জমি দখল করতে গেলে শফি সিকদার ও তার ভাতিজা বাধা দেয়। পরে জামাল ও ফিরোজরা মিলে শফি ও তার ভাতিজা মালেককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে সেই ঘটনায় তারা ধামরাই থানায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামিরা হাজিরা না দিলে তাদের রিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। এই খবর পেয়ে আসামিরা রাতের আধারে শফি সিকদারের এক বিঘা জায়গার ধরন্ত লাউগাছ কেটে ফেলে।
এ বিষয়ে শফির ভাতিজা আব্দুস ছালাম বলেন, জমি নিয়ে মামলা থাকা স্বত্বেও জামাল ফিরোজ গংরা আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করে। আমি সেখানে বাধা দিলে তারা আমাকে সাফল দিয়ে কুপিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে ফেলে। আমি ২২ দিন ধামরাই সরকারি হাসপাতালে ছিলাম। এই ঘটনায় আমি থানায় মামলা দায়ের করি। সেই মামলা ফিরোজ ও জামাল গংরা হাজিরা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে কোর্ট। সেই কারণে রাতের আধারে আমার চাচার ধরন্ত লাউগাছ কেটে ফেলেছে ফিরোজ ও জামাল গংরা।
জমির মালিক শফি সিকদার বলেন, আমি গরীব মানুষ এনজিও থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দুই বিঘা জমি দাইশুধি রেখেছি। সেই জমিতে লাউগাছ লাগিয়েছি। লাউয়ের ফলন ও খুব ভাল হয়েছে। আশা করেছিলাম ৫লাখ টাকার লাউ বিক্রি হবে। আমি লাউ বিক্রি করে এনজিও ঋণ পরিশোধ করতে ছিলাম। এরই মধ্যে জামাল ও ফিরোজরা মিলে আমার সেই স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। আমি এখন কিভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করবো।
এ বিষয়ে ফিরোজ এবং জামালদের না পেয়ে কথা হয় আসামি সুফিয়া বেগমের সাথে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা শফি সিকদারের ক্ষেতের লাউগাছ কাটিনি। তারা আমাদের মামলায় ফাঁসাতে নিজেদের লাউগাছ নিজেরা কেটে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করার ফন্দি করছে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এক বিঘা জায়গার ধরন্ত লাউগাছ কাটার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড