সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় আনন্দ স্কুলশিক্ষিকা রহিমা খাতুন হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে উভয়কে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও ৩৪ ধারায় উভয়কে আরও তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ এর আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এই রায় ঘোষণা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের পেশকার লিটন ভূঁইয়া ও আসামি পক্ষের আইনজীবী লোকমান হাকিম।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ঝাউল উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (৪১) ও একই থানার চৌধুরী ঘুঘাট গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আইয়ুব আলী (৪৩)।
মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, রহিমা খাতুন (২২) বাবার বাড়ি থেকে ব্র্যাক সমিতির আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এমতাবস্থায় ২০১৮ সালের ৩০ মে সলঙ্গা থানার বেতুয়া গ্রামের আক্তার হোসেনের জমির পূর্ব পাশে খালের মধ্যে রহিমা খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সলঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত চলাকালে পিবিআই রহিমা খাতুনের প্রেমিক হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, রহিমা খাতুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন হলো তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে হাবিব তার সহযোগী আইয়ুব আলীকে সঙ্গে নিয়ে রহিমা খাতুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী রহিমা খাতুনকে হত্যা করে খালের মধ্যে লাশ ফেলে রাখা হয়। পরে হাবিবুর রহমান হাবিব হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে পিবিআই হাবিবুর রহমান হাবিব ও আইয়ুব আলীকে আসামি করে ২০১৯ সালের ৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আজ হাবিবুর রহমান হাবিব ও আইয়ুব আলীকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩৪ ধারায় ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড