সম্রাট, কয়রা (খুলনা)
খুলনার কয়রায় পুলিশের পৃথক পৃথক বিশেষ অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫৩ কেজি হরিণের মাংস ও সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ প্রয়োগ করে ধরা ৩১০ কেজি চিংড়িসহ বিনান্দ কুমার বৈদ্য নামে একজন কারবারিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার (১৯ জুলাই) ভোর রাতে থানার ওসি এবিএমএস দোহার (বিপিএম) নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক অভিযানে উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের কাশিরহাট এলাকা থেকে বিষ দেয়া চিংড়িসহ একজনকে আটক করে। অন্য দিকে কয়রা সদর ইউনিয়নে ৪নং কয়রা গ্রামের শাকবাড়িয়া খালের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটক বিনান্দ ও একটি সিন্ডিকেট নিষিদ্ধ সময়ে স্থানীয় জেলেদের সুন্দরবনে পাঠিয়ে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করত। পরে মাছ সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে মৎস্য আৎত ও শুঁটকি মাছের খুঁটিতে বিক্রয় করত।
উল্লেখ্য, গত এক মাসে এ পর্যন্ত বন বিভাগ ও পুলিশের অভিযানে বিষ দিয়ে ধরা এক হাজার কেজি চিংড়ি, ২৫টি নৌকা, ১০ জন আসামি, একটি ইঞ্জিন ভ্যান, তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
প্রশাসনের কঠিন তৎপরতা থাকলেও থামছে না নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা। সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেট চক্রটি মেতে উঠেছে সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্য ও মৎস্য-সম্পদ ধ্বংসে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএমএস দোহা (বিপিএম) বলেছেন, সুন্দরবনসহ আশপাশের বিভিন্ন নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ বন্ধ করতে পুলিশের কঠোর অভিযান চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমিসহ এসআই বাবুন, এসআই ইব্রাহিম, এসআই সবুজ ও কয়েকজন ফোর্স পৃথক অভিযান অভিযান চালাই। পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া ৫৩ কেজি হরিণের মাংস ও ৩১০ কেজি চিংড়িসহ বিনান্দ কুমার বৈদ্যকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করি।
উল্লেখ্য, সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্য ও মৎস্য-সম্পদ রক্ষায় আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড