• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও স্বামী-সন্তানের নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি ফাতেমা

  মো. রেজোয়ান ইসলাম, নীলফামারী

০৩ জুলাই ২০২৩, ১৪:১৬
বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও স্বামী-সন্তানের নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি ফাতেমা

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় স্বামী সন্তানের নির্যাতনে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ফামেরা বেগম। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ফাতেমা।

গতকাল রবিবার (২ জুলাই) ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডোমার উপজেলার সোনারায়ের মৃতঃ বছির উদ্দিনের পুত্র মোকছেদুল ইসলামের সঙ্গে ৩৫/৪০ বৎসর যাবত ঘরসংসার করে আসছেন তিনি। কিন্তু গত ২০১৮ সালে অভিযুক্ত মোকছেদুল ইসলাম ফাতেমার অজান্তে গোপনে একই এলাকার মৃতঃ আলী পিয়নের মেয়ে শাহনাজ বেগমকে বিবাহ করে।

এ নিয়ে এলাকায় জানাজানি হলে ভুক্তিভোগী ফাতেমা স্বামীকে (মোকছেদুল) প্রশ্ন করলে তাঁর স্বামী তাকে অমানবিক নির্যাতন করে। পরে তার স্বামী তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।

আরও জানা যায়, চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে নিজের অজান্তে সহি/স্বাক্ষর নিয়ে ওয়ারিশি সম্পত্তিসহ ৫৮ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে এবং ৪টি গরুসহ নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় স্বামী-সন্তান ।

দৈনিক অধিকারকে মৌখিকভাবে তিনি আরও জানান তাঁর স্বামী-সন্তান কর্তৃক প্রাণনাশের সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি।

এ বিষয় ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি (ভারপ্রাপ্ত) দৈনিক অধিকারকে জানান, ভুক্তিভোগী ফাতেমা বেগমের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শুনানিতে উভয় পক্ষকে ডাকা হবে। আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড