• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সন্তানের হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পিতা

  আব্দুল মালেক, স্টাফ রিপোর্টার (গাজীপুর)

২৩ জুন ২০২৩, ১১:৪০
সন্তানের হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পিতা

গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের সালুয়াটেকি গ্রামের বৃদ্ধ মফিজ উদ্দিন তার সন্তানের হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। মামলা দায়েরর প্রায় তিন বছর হলেও এখনো তদন্ত শেষ করতে পারেনি পিবিআই।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর হাবিবুল্লা স্বাণিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মফিজ উদ্দিন।

বৃদ্ধ মফিজ উদ্দিন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলে ইদ্রিস আলী (৩০) গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানাধীন টোক ইউনিয়ন ভুক্ত সালুয়াটেকি গ্রামস্থ মোতালেব ভূঁইয়ার ছেলে রবিন ভূঞা এবং মোতালের ভূঁইয়ার নাতী জহির আহসান আহিদদের জমি জমা রক্ষণাবেক্ষণ এবং বেচা-বিক্রির দায়িত্বে পালন করতেন।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ইদ্রিস আলী রবিন ভূঞার কেয়ারটেকার হিসাবে কাজ করতেন। পরবর্তীকালে জাহিদ তার মায়ের ওয়ারিশী সম্পত্তি দখল ও বিক্রি করার জন্য ভুক্তভোগী ইদ্রিস আলীকে কেয়ারটেকার হিসাবে রাখেন। কিছুদিন জাহিদের কাজ করলেও পরে অনীহা প্রকাশ করলে ইদ্রিস আলীর সহিত দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ সময় ভুক্তভোগী ইদ্রিস আলী পুনরায় রবিন ভূঞার সাথে কাজ শুরু করে।

বৃদ্ধ মফিজ উদ্দিন বলেন, এর কিছুদিন পর ভুক্তভোগী ইদ্রিস নিখোঁজ হলে মা মোরশেদাসহ পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে অভিযুক্ত জাহিদের নানা এবং রবি ভূঞার পিতা মোতালেব ভূঁইয়ার বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে পুকুর পাড়ে ইদ্রিসের লাশ মাথা ও গলায় কাটা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পাওয়া যায়।

তার ধারনা- পরিকল্পনা মতে ২০২০ সালে ২৪ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২৫ আগস্ট সকাল সকাল ৮টার মধ্যে যে কোনো সময় রবিন ভূঁইয়াসহ তার সহযোগীরা ইদ্রিস আলীকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা মোরশেদা এজাহার নামীয় জাহিদসহ ১০/১২ জনক আসামই করে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। চার মাস পর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় গাজীপুর জেলা পিবিআই।

তিনি দাবি করে, পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে আসে রবিন ভূঁইয়া তার ভাগিনা জাহিদকে ওয়ারিশী সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য ভাগিনাকে ফাঁসাতে ইদ্রিসকে হত্যার পরিকল্পনা করে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করে। পরে পিবিআই রবিন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করলে সে হত্যার ঘটনা স্বীকারে আরও চারজনের নাম উল্লেখ করে। পরবর্তীকালে রবিন ভূঁইয়া জামিনে বের হয়ে আসেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে পিবিআই পুলিশ, প্রধান আসামি রবিন ভূঁইয়াসহ তার স্বীকারোক্তি আরও যে চারজনের নাম বলেছে; তাদের ধরাছোঁয়ার বাহিরে রেখে মামলায় উল্লেখিত জাহিদসহ অন্যান্যদের নিয়ে মামলার কার্যক্রম চলাচ্ছেন। তাই প্রধান আসামি রবিন ভূঁইয়া এখন রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, রবিন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়া হত্যার সাথে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম সে বলেছে। আমরা তাদেরও গ্রেফতার করেছি। খুব শীঘ্রই মামলার চার্জশিট দেয়া হবে। তদন্তের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। তাছাড়া আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়া আসামিদের কোনোভাবে মামলা থেকে বাদ পড়ার সুযোগ নেই।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড