• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জাল সনদে চাকরি নিয়ে ফেঁসে গেল ওরা

  কাজী শাহরিয়ার রুবেল, আমতলী (বরগুনা)

১২ জুন ২০২৩, ১১:২১
জাল সনদে চাকরি নিয়ে ফেঁসে গেল ওরা
জাল সার্টিফিকেট (ফাইল ছবি)

বরগুনার আমতলী উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক মারিয়া জাহান ও ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক তানজি রহমান জাল সনদে চাকরি নেয়ায় এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ তাদের চাকুরিচ্যুত করে অবৈধভাবে ভোগকৃত বেতন ভাতার সমুদয় টাকা সরকারি কোষাগারে টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এনটিআরসির সহকারী সচিব সেলিম সিকদার স্বাক্ষরিত এক পত্রে ওই নির্দেশ দেয়া হয়।

জানা গেছে, ২০১০ সালে মারিয়া জাহান উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিষয়ে এনটিআরসির জাল সনদে চাকুরি নিয়ে এমপিওভুক্ত হন। ২০১৬ সালে তিনি স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে অন্যত্র চলে যান।

গত ৬ বছরে তিনি অবৈধভাবে সরকারি বেতন-ভাতা বাবদ পাঁচ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৫০ টাকা ভোগ করেছেন।

গত ১৮ মে এনটিআরসি’র সহকারী সচিব মো. সেলিম সিকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার সনদ জাল বলে ৪৪৪ ক্রমিকে শনাক্ত করেন। ওই চিঠিতে তাকে চাকুরিচ্যুত করে তার ভোগকৃত সমুদয় বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া এবং নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে মারিয়া জাহান ওই চাকুরি ছেড়ে চাওড়া চন্দ্রা কারিগরি কৃষি কলেজে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে কর্মরত থেকে ২০২১ সালে তিনি ওই পদে এমপিওভুক্ত হয়েছেন।

অপর দিকে ২০১৫ সালে তানজি রহমান ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিষয়ে জাল সনদে চাকুরী নিলেও তিনি এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। এনটিআরসি ৪৯৫ নং ক্রমিকে তার সনদ জাল বলে শনাক্ত করেছেন।

মারিয়া জাহান বলেন, সমস্যা ছিল বিধায় স্বেচ্ছায় চাকুরি থেকে রিজাইন করেছি। বর্তমানে আমি চাওড়া কারিগরি কৃষি কলেজে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরি করছি।

ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম মুঠোফোনে বলেন, চাকুরি নেয়ার পরপরই বেতন-ভাতা না হওয়ায় তানজি রহমান চাকুরী ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুব উল আলম বলেন, অবৈধভাবে ভোগকৃত বেতন-ভাতার সমুদয় অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মারিয়া জাহানকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। কিন্তু তিনি গত ৮ বছরে তার ভোগকৃত বেতন ভাতার সমুদয় অর্থ এখনো ফেরত দেয়নি।

ওই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক নেতা বলেন, শুধু মারিয়া ও তানজি না এ রকম আরও অনেকে জাল সনদ দিয়ে আমতলীর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর চাকুরী করছেন। যা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্বারা যাচাই-বাচাই করলেই যানা যাবে তারা কারা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন বলেন, অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড