• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পায়রা নদীতে নিষিদ্ধ জালে নিধন হচ্ছে নানা প্রজাতির রেনু

  কাজী শাহরিয়ার রুবেল, আমতলী (বরগুনা)

১১ জুন ২০২৩, ১৬:২০
পায়রা নদীতে নিষিদ্ধ জালে নিধন হচ্ছে নানা প্রজাতির রেনু
নিষিদ্ধ জালে রেনু নিধন করা হচ্ছে (ছবি : অধিকার)

বরগুনায় আমতলী উপজেলার আওতাধীন পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরা হচ্ছে। মাছ ধরার ক্ষেত্রে ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা পায়রা নদীতে বাগদা-গলদা পোনা অবাধে ধরছেন।

মশারি, নেটের জাল দিয়ে গলদা ও বাগদা চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির রেনু নিধনের মহোৎসব চলছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তেমন নজরদারি নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মশারি বা নেটের জালে প্রতি টানে আট-দশটি চিংড়ির রেণুর সঙ্গে টেংরা, পোয়া, তপসিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছের পোনা পাওয়া যায়। শুধুমাত্র গলদা ও বাগদার রেনু রেখে অন্যান্য রেনু ফেলে দেওয়া হয় নদীর পাড়ে। এতে নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ।

স্থানীয়রা জানান, সরকারি ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলমান। তবে সরকারি কোনো তদারকি না থাকায় প্রতিদিন শতাধিক জেলে রাত-দিন পায়রার বুকে অবৈধ জালে শিকার করছে নানা প্রজাতির পোনা মাছ। শুধুমাত্র জেলেরা গলদা ও বাগদার পোনা সংরক্ষণ করছেন। আর অন্য পোনা মাছগুলো নদীর পাড়ে ফেলে দিয়ে অবাধে ধ্বংস করছেন।

এসব কার্যক্রমকে উৎসাহিত করছেন কিছু অসাধু ঘের মালিক ও আড়তদার। নিম্ন শ্রেণির জেলেদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে স্বল্প মূল্যে তারা ক্রয় করছেন এসব পোনা মাছ। উপজেলার বৈঠাকাটা, চাওড়ার ঠোডাসহ বিভিন্ন স্থানে পোনা নিধন ও ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম চলে প্রকাশ্যে। এতে নদীতে এসব মাছ বিলুপ্ত ও খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, এক একটি গলদা ও বাগদা চিংড়ি পোনা শিকার করতে দুই শতাধিক অন্যান্য পোনা ধ্বংস করছে জেলেরা। এতে নদীর ভারসাম্য মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে। ২০০১ সালে মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয় অবাধে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু আইন বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায় না। এভাবে পোনা নিধন চলতে থাকলে অনেক প্রজাতির মাছ উপকূলীয় এলাকা থেকে অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জেলে জানান, দৈনিক শতাধিক জেলে পোনা মাছ শিকার করে। পোনা শিকারের পরে তা খুলনা, বাগেরহাট, মংলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এই কার্যক্রমের সাথে ঘেরের মালিক ও কিছু আড়তদার জড়িত।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সর্দার বলেন, মাছের রেনু আহরণ ও পরিবহন আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার মুঠোফোনে বলেন, নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। অবৈধভাবে পোনা মাছ ধ্বংস করার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আসতে হবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড