• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বাবুর্চির মৃত্যু, অস্ত্রসহ আসামি গ্রেফতার 

  সাইদুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

০৪ জুন ২০২৩, ১১:১৬
যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বাবুর্চির মৃত্যু, অস্ত্রসহ আসামি গ্রেফতার 
গ্রেফতারকৃত আসামি (ছবি : অধিকার)

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ রেস্তোরাঁ বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদার নিহতের ঘটনায় শাওনকে (২৩) গ্রেফতার করেছে জেলা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

গতকাল শনিবার (৩ জুন) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল। এ সময় আসামির কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গেল শুক্রবার (২ জুন) নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের মাসাবো এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামি মো. শাওন রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার মো. মোতাহার হোসেনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপগঞ্জ থানার তারাবো পৌরসভাধীন মাসাবো এলাকার নিজ বসতবাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাসাবো তার নিজ বসতবাড়ির দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো সাদা রংয়ের শপিং টিস্যু ব্যাগ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি বিদেশি পয়েন্ট টুটু বোরের রিভলভার উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায় যে, ওই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সে গুলি করেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এসআই মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন।

বিল্লাল হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গত বুধবার তার স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তারাব পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহানসহ ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আবু সুফিয়ানের নাম সোহান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকালে বরপা এলাকায় রিফাত নামে এক তরুণের মোটরসাইকেলের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কা লাগে। পরে রিফাত ওই মাইক্রোবাস চালককে মারধর করেন। তারাব পৌরসভা যুবলীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ প্রিন্স হোটেলে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। সেই বৈঠকে রিফাতের পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান সোহান রিফাতের পক্ষে অংশ নেয়। বৈঠকে বায়েজিদের সঙ্গে রিফাতের তর্কবিতর্ক হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তর্কের এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। মারামারিতে তাদের অনুসারীরাও যুক্ত হয়। হোটেলটি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সোহান বায়জিদ সাউদকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুঁড়লে সেই গুলি বিল্লাল হোসেনের গায়ে লাগে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় করা মামলাতেও আবু সুফিয়ান ওরফে সোহানের গুলি করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড