• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পাকা ঘরে তাণ্ডব চালাল বন্যহাতি

অল্পের জন্য শিশুর প্রাণ রক্ষা

  এম. কামাল উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার (রাঙামাটি)

২২ মে ২০২৩, ১৭:১৪
পাকা ঘরে তাণ্ডব চালাল বন্যহাতি

রাঙামাটির লংগদুতে ক্রমেই বাড়ছে বন্যহাতির তাণ্ডব। উপজেলার ৪নং বগাচতর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মারিশ্যারচর শিবের আগা এলাকায় বন্যহাতি তাণ্ডব চালিয়েছে।

সম্প্রতি ওই এলাকায় সাদেক আলী নামে এক ব্যক্তির পাকা ওয়াল নির্মিত ঘরের লোহার জানালা ভেঙে দিয়েছে বন্যহাতির পাল। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে গেল সাদেক আলীর শিশু বাচ্চাটি।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৬ মে ভোরে শিবের এলাকায় সাদেক আলীর ঘরের জানালা ভেঙে দেয় বন্যহাতি। পরে স্থানীয় লোকজন এসে হাতির পালটিকে তাড়িয়ে দেয়। এর আগেও বেশ কয়েক বার এই এলাকায় বন্যহাতি তাণ্ডব চালিয়ে ঘরবাড়ি গুটিয়ে দেয় এবং জানমালের ক্ষতি করে।

প্রতি বছর এপ্রিল ও মে মাসে বন্যহাতি ওই সব এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করে। দু’বছর আগে বন্যহাতির আক্রমণে ২-৩ জন মারা যাওয়ার খবর ও পাওয়া গেছে।

ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মো. হানিফ, মো. জামাল ও মো. আজহার জানান, রবিবার (২১ মে) রাতে বন্যহাতির পালটি ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলে এবং পাকা ধানের ক্ষয়-ক্ষতিসহ গাছপালা গুড়িয়ে দেয়। এভাবে প্রতিদিন চরম জ্বালা-যন্ত্রণা দেয় বন্যহাতি।

এ ব্যাপারে বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাদের অবগত করা হলেও বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তারা। বন্যহাতির আক্রমণে এই এলাকায় অনেক লোক পঙ্গুত্ব বরণ করছে।

বন্যহাতির আক্রমণে আতংকে ও ভয়ে আছে ওই এলাকার মানুষ। হাতির ভয়ে রাতে মানুষগুলোর ঘুম হারাম করে মহিলা পুরুষ মিলে পাহারা দিতে হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ বলেন, বন্যহাতি তাদের মন মতো ঘুরে বেড়ানোর জায়গা নাই। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় পর্বত কেটে ও ঝুম চাষ করে পাহাড় ধ্বংস করা হয়েছে। যার ফলে বন্যহাতিরা উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে লোকালয়ে চলে আসছে।অপর দিকে বন্যহাতির খাবারে সংকট দেখা দিয়েছে যার কারণে তারা মানুষের পাকাধান, কলাগাছ ও বাড়িঘরে হামলা দিচ্ছে। সরকারিভাবে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের বিপদেও আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, বন্যহাতির হাঁটাচলার রাস্তাঘাট দখল করে নিয়েছে লোকজন। অপর দিকে গাছপালা উজাড় করে কেটে ফেলা হচ্ছ, তাই বন্যহাতি নিরুপায় হয়ে এবং তাদের খাবার চাহিদা পূরণ করতে লোকালয়ে চলে আসে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ শুধু গাছপালা কাটে কেউ সহজে গাছপালা লাগায় না। তবে বন্যহাতির ব্যাপারে বন বিভাগ যথেষ্ট সচেতন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বন আইনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেই। সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তাকে বলে দেওয়া হবে যেন ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তালিকা ভুক্ত করে বিভাগীয় অফিসে প্রেরণ করে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড