এম এ মোতালিব ভুইয়া, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ব্লাস্টরোগের প্রাদুর্ভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের শীষ। এ রোগের আক্রমণে গোঁড়া থেকে কালো হয়ে বিপুল হেক্টর জমিতে ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। এতে ব্যাপক ফলন হ্রাসের আশঙ্কা করছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কৃষকেরা।
গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাশতলা, চৌধুরী পাড়া, কলোনী, মৌলারপাড়, পালকাপন, ধরমপুর, রাজারগাঁও বাঘমারা, উস্তুোংগের গাঁও, কলাউড়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার ধানক্ষেতে এই রোগটি দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত জমি থেকে ধীরে ধীরে বিস্তারলাভ করে আশপাশের জমিগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে।
পালকাপন গ্রামের কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, আমার বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগ আক্রমণ করেছে। অনেক ওষুধ ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।
একই গ্রামের কৃষক মো. কিবরিয়াসহ একাধিক কৃষক বলেন, বোরো আবাদ শুরুর দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তেমন কোন রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি। কৃষকরা ভাল ফলনের আশা করেছিল।
কিন্তু ধানে পাক ধরার সাথে সাথে হঠাৎ করেই ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ছিটিয়ে কোনো কাজ হয়নি। এতে ভয়াবহ ফলন বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে কৃষকেরা আশঙ্কা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলায় চলতি বছর বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চাষ হয়েছে ১২ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে। এ মৌসুমে এই অঞ্চলের কৃষকরা আবাদ করেছেন উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৮৯-৯৯মিনিকেট, ভারতীয় জাত গুটি স্বর্ণা, কাটারিভোগসহ বিভিন্ন প্রকার ধান।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মহসিন জানান, হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তন, রাতে ঠাণ্ডা দিনে গরম। দেরিতে লাগানো হয়েছে, জমিতে পানির অভাবসহ ইউরিয়া সার বেশি দেওয়ায় ব্লাস্টার রোগ হয়ে থাকে। খবর পেয়ে কৃষি অফিসের লোকজন আক্রান্ত জমিগুলো পরিদর্শন করে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে। এ রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড