• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মেঘনায় মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ, জেলেপল্লীতে চিন্তার ভাঁজ

  খলিল উদ্দিন ফরিদ, ভোলা

০৮ মে ২০২৩, ১৭:০৫
মেঘনায় মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ, জেলেপল্লীতে চিন্তার ভাঁজ

নিষেধাজ্ঞার দুমাস পর নদীতে নেমেছেন ভোলার জেলেরা। কিন্তু জেলেদের জালে মেলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ। আশানুরূপ ইলিশ না পেয়ে হতাশ তারা। হাতেগোনা কয়েকটি মাছ নিয়েই মৎস্য ঘাটে ফিরছেন জেলেরা।

জেলেরা বলছেন- নিষেধাজ্ঞার সময় কর্মহীন হয়ে ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা শেষে স্বপ্ন ছিল নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে শিকার করতে পারবেন। কিন্তু নদীতে নেমে মাছ না পাওয়া ধার-দেনা পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত তারা।জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকা ইলিশের অভয়াশ্রম হওয়ায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের ছিল নিষেধাজ্ঞা। গত ৩০ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার পর নদীতে নামেন জেলেরা।

ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি গ্রামের জেলে মো. সাইফুল মাঝি, রাসেল মাঝি ও ইব্রাহীম মাঝি জানান, দুমাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে তারা যে যার মতো ট্রলার নিয়ে দল বেঁধে নদীতে গিয়েছেন। কিন্তু তারা যে মাছ পেয়েছেন তা বিক্রি করে তেলের টাকার পরিশোধের পর একেক জন জেলে ২০০-৩০০ টাকা পেয়েছেন।

তারা আরও জানান, নদীতে গিয়ে তারা ভেবেছিলেন ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ পাবেন। কিন্তু যে মাছ পাচ্ছেন তাতে হতাশ তারা।

মো. নীরব মাঝি ও নাগর মাঝি জানান, দুমাস ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছেন। তাদের স্বপ্ন ছিল নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে আশানুরূপ ইলিশসহ সব ধরনের মাছ পাবেন। সেই মাছ বিক্রির টাকায় ধার-দেনা পরিশোধ শুরু করবেন। কিন্তু তাদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না।

তারা আরও জানান, নদীতে গিয়ে দু-চারটি ছোট সাইজের ইলিশ আর ১০-১২টি বিভিন্ন সাইজের পোয়া মাছ মিলেছে। খুবই কম পরিমাণ ইলিশ পাওয়ায় ও পোয়া মাছের দাম কম হওয়ায় আয় বেশি হয়নি।

তুলাতুলি মৎস্য ঘাটের ব্যবসায়ী মঞ্জু ইসলাম ও মো. ইব্রাহীম জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে মৎস্য ঘাটের ব্যবসা জমজমাট হওয়ায় কথা থাকলেও নদীতে জেলেরা আশানুরূপ মাছ পাচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞার সময় ঢাকা, বরিশাল ও চাঁদপুরের পাইকারি আড়ত থেকে দাদন এনে জেলেদের দিয়েছেন। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে ওই আড়তে বেশি পরিমাণ মাছ পাঠানোর চাপ থাকেলও পারছেন না তারা।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, বর্তমানে ইলিশের সিজন না। তাই জেলেরা নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে আশানুরূপ ইলিশ পাচ্ছেন না। তবে বৃষ্টিপাত হলে নদীতে ইলিশের পরিমাণ আরও বাড়বে। জুনের দিকে জেলেরা নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাবেন।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড