আব্দুর রউফ রুবেল (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অনৈতিক মেলামেশার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা উপজেলার কেওয়া গ্রামে ঘটেছে। ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি ফাজিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান কেওয়া গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দিলেও ঘটনার ছয়দিনেও মামলা রুজু হয়নি। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। মাদরাসায় আসা যাওয়ার পথে মেহেদী হাসান ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। গত চার মাস ধরে মেহেদীর সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে মেহেদী তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। পড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেহেদী গত ৩/৪ মাসে তাকে বিভিন্ন অপরিচিত জায়গায় নিয়ে ৩/৪ বার অনৈতিক মেলামেশা করে। গত ২২ এপ্রিল (ইদের দিন) রাত আটটার দিকে মেহেদী ওই ছাত্রীকে কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করবে বলে তুলে নেয়। পরে উপজেলার টেপির বাড়ি এলাকার বনে নিয়ে তার সাথে মেলামেশা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে মেহেদী ওই ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা বলেছেন, অভিযুক্তরা স্থানীয় প্রভাবশালী। আমরা অন্য জেলার লোক। ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ দিকে প্রভাবশালীরা অভিযোগ প্রত্যাহার করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমাদেরকে অব্যাহত চাপ দিচ্ছে। অপর দিকে আমার মেয়েকে মেহেদী বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করার হুমকি দিচ্ছে। এখন আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম নাসিম বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগ পেয়েছি। মামলা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড