এম কামার উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার (রাঙামাটি)
এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তর কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় জেলার ৬ উপজেলার সাথে নৌ চলাচলে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিলে হ্রদে নৌ-যান চলাচলের মতো পানি থাকে হ্রদে কিন্তু এ বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই হ্রদে নব্যতা দেখা দিয়েছে। যার কারণে নৌ চলাচলের উপর চরম প্রভাব পড়েছে।
কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে গেলে বিরাজমান দুটি সমস্যা দেখা দেয়। একটি হলো বিদ্যুৎ লোডশেডিং অপরটি হলো হ্রদে নৌ চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি।
এ ব্যাপারে সরকারের কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা এখনো চোখে দেখেনি রাঙামাটিবাসী। কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং জল্পনা কল্পনা হিসেবেই মানুষের মুখে মুখে রয়ে গেছে।
খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, ১৯৬২ সালে কাপ্তাই হ্রদের সৃষ্টি। প্রায় ৬০ বছর হলো কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টি হয়েছে। এই ৬০ বছরের মধ্যে একবারও হ্রদ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেনি কোনো সরকার।
কাপ্তাই হ্রদ বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট অর্থনৈতিক সম্পদ। এ সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে এই হ্রদ থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি উপার্জন করা সম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
কাপ্তাই হ্রদে রয়েছে প্রচুর সম্পদ, যে সম্পদকে আমরা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করতে পারি। হ্রদটি ড্রেজিং করা হলে এশিয়া মহাদেশের বিখ্যাত মৎস্য শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। অপর দিকে ১২ মাস নৌ চলাচল সম্ভব হবে। এতে মানুষের জীবন যাত্রার মান আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
এতে ঘুরে দাঁড়াবে জেলার ৬ উপজেলার মানুষের ভাগ্যের চাকা। রাঙামাটি জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম ৬ উপজেলার মানুষের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম নৌপথ। বছরে প্রায় ৬-৭ মাস হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় নিদারুণ কষ্টে যাতায়াত করতে হয় নৌ চলাচলের যাত্রীদের।
লংগদু ও বাঘাইছড়ি যাত্রীদের দুঃখ দুর্দশার কথা জানান, গোলামুর রহমান ও নোমান। এ বছর অতিদ্রুততার সহিত পানি কমে যাওয়ার কারণে মানুষের দুর্ভোগ ভেড়ে গেছে। হ্রদ ড্রেজিং এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নৌ-যান মালিক ও চালকরা বলেন, প্রতি বছর এই মৌসুমে হ্রদে প্রচুর পানি। নৌ চলাচলে কোনো সমস্যা হয় না। এ বছর আগাম হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় নৌ-যান চলাচলে আমাদের প্রচুর কষ্ট হচ্ছে। সরকারের কাছ আমাদের দাবি দ্রুত যেন কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং করা হয়।
পরিবেশবিদরা বলেন, কাপ্তাই হ্রদ চরম হুমকির মুখে বিরাজ করছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে হ্রদ দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং করার জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনো লিখিতভাবে কোনো চিঠিপত্র পাইনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড