শাকিল মুরাদ, শেরপুর
মুসলমানদের তীর্থস্থান খ্যাত মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র সৌদি আরবসহ বিশ্বের ১৫টি দেশের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের শেরপুরের ৯টি গ্রামের একাংশ করে পালিত হচ্ছে আগাম পবিত্র ইদুল ফিতর। আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামে পবিত্র ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিটি জামায়াতে শতাধিক করে মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এসব জামায়াতে পুরুষ মুসল্লিদের পাশাপাশি ১০ থেকে ২০ জন করে নারী মুসল্লি পর্দার আড়ালে একই জামাতের সহিত ইদের নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর পারস্পরিক কোলাকোলি শেষে তারা অংশ নেন প্রীতিভোজে। এরপর আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকেন সারাদিন।
আগাম ইদুল ফিতর পালিত গ্রামগুলো হলো- সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, বামনেরচর, গাজীর খামার গিদ্দাপাড়া, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিম পাড়া, গোবিন্দনগর ছয় আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া, ঝিনাইগাতি উপজেলার বনগাঁও চতল ও শ্রীবরদী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম খামারবাড়ি।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, গত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকার একাংশ নিজেদের সুরেশ্বর দরবার শরিফের ভক্ত বলে দাবিদার কিছু লোক সৌদি আরব, আফগানিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে রোজা ও ইদে নামাজ আদায় করে আসছে।
চরকৈয়া গ্রামে ইদের নামাজ পড়তে আসা আবু বক্কর বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রাইখে নামাজ আদায় করি। আমরা রোজাও রাখি সৌদির সাথে মিল রেখে। এ গ্রামের অনেক মানুষ একদিন আগেই রোজা রাখে ও ঈদ করে। নামাজ শেষ করে আমগর পোলাপানরা আনন্দ-উল্লাস করে।
পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা ইউসুফ আলী বলেন, করোনার মধ্যে এভাবে একসাথে এতো মানুষ নামাজ আদায় করতে পারি নাই, এখন আমরা সবাই মিলে নামাজ পড়তে পারি। বিষয়টা অনেকের কাছে খারাপ মনে হলেও আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখেই পালন করি।
নকলা উপজেলার চরকৈয়া এলাকার ইমাম মাওলানা মো. সারোয়ার জাহান বলেন, মূলত আমরা সৌদির সাথে মিল রেখে ইদের নামায আদায় করি। নামাজের জামাত চলাকালীন সময়ে প্রতি বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষ আবার আফগানিস্তান নাইজেরিয়াসহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখে আগাম ইদ পালন করেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড