কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অতি মুনাফার আশায় অপরিপক্ব আম ক্যামিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে ঢাকায় পাঠানোর পূর্বকালে মোবাইল কোর্টে জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী উপজেলার গাজীরহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনটি ছোট মিনি ট্রাকে করে গাজীরহাট এলাকা থেকে দশ টন অপরিপক্ব ও ক্যামিক্যাল মিশ্রিত আম জব্দ করেন।
এক অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির শেল্টারে এই আমগুলো ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলো বলে জানা গেছে। অভিযানে দশ টন আম জব্দ করা হয়েছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান। পরে জব্দকরা ক্যামিক্যালযুক্ত আমগুলো মঙ্গলবার দুপুরে দেবহাটা ফুটবল মাঠে জনসম্মুখে বিনষ্ট করে দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শওকত ওসমান, প্রমুখ।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, আগামী ১২ মে থেকে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখীসহ স্থানীয় জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া ২৫ মে থেকে হিমসাগর, ১ জুন থেকে ল্যাংড়া এবং ১৫ জুন থেকে আম্রপালি আম পাড়া ও প্রাকৃতিকভাবে পাকানো আম বাজারজাত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অভিযানকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, গোপন খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে কাঁচা ও ক্যামিক্যাল মিশ্রিত আধপাকা আম জব্দ করা হয়। যেসব আম জব্দ করা হয়েছে তার ভিতরের আঁঠি এখনো পুষ্ট হয়নি। তাছাড়া জব্দকৃত আম জনসম্মুখে গাড়ির চাকায় পিষে এবং কেটে নষ্ট করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাতক্ষীরার আমের সুনাম নষ্ট না হয় সেজন্য এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড