• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এমপিও বাতিল, চাকরিচ্যুত, বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণ শুরু

২০ বছর পর ধরা পড়ল প্রভাষকের নিয়োগ দুর্নীতি

  আবিদ মাহমুদ, রাউজান (চট্টগ্রাম)

১৮ মার্চ ২০২৩, ১৬:৪৫
২০ বছর পর ধরা পড়ল প্রভাষকের নিয়োগ দুর্নীতি
প্রভাষক অর্পন কান্তি ব্যানার্জি (ফাইল ছবি)

দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত রাউজান সরকারি কলেজের রসায়ন বিষয়ের প্রভাষক অর্পন কান্তি ব্যানার্জির এমপিও বাতিল করা হয়েছে। তিনি ২০০৩ সালে এমপিও-ভুক্ত হন। এই প্রভাষকের বাঁধসাধে ২০১৬ সালের সরকারিকরণের পরিদর্শন।

পরিদর্শনকালীন নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহা পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক ও তার টিম অর্পন কান্তির নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি উদঘাটন করেন।

পরবর্তী সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনেও শিক্ষকের নিয়োগ যথাযথ নয় বলে মন্তব্য করেন এবং পদ সৃজন প্রস্তাব থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়। এমপিও বাতিল করে বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

শনিবার (১৮ মার্চ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ সিকদার। প্রভাষক অর্পন কান্তি ব্যানার্জির চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার লাভ লেইন এলাকার কমল কৃষ্ণ ব্যানার্জীর ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, তার নিয়োগ পরীক্ষার বিষয় বিশেষজ্ঞ বা প্রতিনিধি মনোনয়নের চিঠি নেই, মূল্যায়নপত্র নেই, উপস্থিতিপত্র নেই, উপস্থিতিপত্র ও মূল্যায়নপত্র না থাকায় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন কি-না জানা যায়নি।

পরীক্ষায় ১ম ও ২য় স্থান অর্জনকারীকে কেন নিয়োগ দেয়া হয়নি রেজুলেশনে তার কোনো ব্যাখ্যাও নেই; উপরন্তু ২য় স্থান অধিকারীর নামের উপর ফ্লুয়েড দিয়ে অর্পন কান্তি ব্যানার্জী'র নাম লেখা হয়েছে। এছাড়াও প্রস্তুতকৃত মূল নিয়োগ প্যানেলে অপর জনের নামের উপর আলাদা কাগজে অর্পন কান্তির নাম লিখে গাম দিয়ে লাগানো হয়েছে। যোগদানপত্র ও নিয়োগপত্রেও ঘষামাজা রয়েছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত হয়।

সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তদন্ত শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩ নভেম্বর ২০২২ তারিখ তার এমপিও বাতিলসহ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহা পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে অনুরোধ করলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এমপিও শীট থেকে তার নাম কর্তন পূর্বক এমপিও বাতিল করা হয় এবং রাউজান কলেজ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। একাধিক শিক্ষক জানান অর্পন কান্তি ব্যানার্জির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে আরও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক বলেন, অর্পন কান্তি একজন দুর্নীতি পরায়ণ ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক, তার কোনো সহকর্মীর সু-সম্পর্ক নেই।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম নাওয়াজ চৌধুরী বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে প্রভাষক অর্পন কান্তি ব্যানার্জির এমপিও বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। নিয়োগে জালিয়াতি ও দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান তিনি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তার এমপিও বাতিল পূর্বক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ শিকদার এ প্রভাষকের এমপিও বাতিলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড