• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

একটি সুইসগেটে উৎপাদন হবে লাখোমণ বোরোধান 

  মো. হাছান, মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা)

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০৪
একটি সুইসগেটে উৎপাদন হবে লাখোমণ বোরোধান 

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে একটি সুইসগেটে ফিরে পাবে হাজারো কৃষকের প্রাণ। বোরো ধানের চাষ হবে দুইশত একর জমি। উৎপাদন হবে হাজারো মন বোরোধান। হাসি ফুটবে লাখো কৃষকের মুখে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা ডাকাতিয়া নদী সংলগ্ন ঘাগুরিয়া নদীর মুখে ৩০ বছর আগে মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয় পানি জমিয়ে রেখে এ পানি দিয়ে কৃষকরা চাষাবাদ করেন। এ কয়েক বছর নদীতে পানি জমে না থাকায় কৃষকরা ইরি মৌসুমে বোরো ধান রোপণ করতে খুব হিমশিম খাচ্ছে।

আংশিক কিছু চাষাবাদ করিলেও পানির অভাবে ভালো ফসল উৎপাদন হয় না। তাই হাজারো কৃষকদের প্রাণের দাবি মনোহরগঞ্জ আলিম মাদরাসার দক্ষিণে ডাকাতিয়া ও ঘাগুরিয়া নদীর মধ্যখানে একটি সুইসগেট একান্ত জরুরি। এখানে সুইসগেট হলে উপকৃত হবে যেসব এলাকা গুলো হলো, হাটিরপাড়, দিশাবন্দ, গোয়ালীয়ারা, খানাতুয়া, সিকচাইল, হাতিয়ামুড়ি, মেল্লা, বান্দুয়াইন, খিলা, তাহেরপুর, দাঁড়াচৌ, ভরনীখন্ডসহ আরও অনেক গ্রামের কৃষকরা।

দিশাবন্দ গ্রামের প্রবীণ কৃষক মো. কাদির হোসেন বলেছেন, আমাদের সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন ঘাগুরিয়া নদীর মুখে একটি সুইসগেট কারণ পানির অভাবে অনেক জমি খিল থাকে। নদীতে পানি থাকলে আমাদের এলাকায় বোরোধানের ফসল দিগুণ উৎপাদন হবে বলে আশা করি।

মৈশাতুয়া ইউনিয়ন গোয়ালীয়ারা গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ বলেন, নদীতে পানি না থাকায় আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ইরি ধান রোপণ করতে পারি না। আমাদের অঞ্চলে বছরে একবার ফসল উৎপাদন হয়। মার্চ ও এপ্রিল মাসে নদীগুলো পানি শূন্য হয়ে পড়ে। পানির সংকটে ভালো ফসল উৎপাদন হয় না। তাই ঘাগুরিয়া নদীর মুখে একটি সুইসগেট হলে, কৃষকদের আর পানির দুর্ভোগ থাকবে না।

খিলা ইউপি সদস্য মো মাইন উদ্দিন মেম্বার বলেছেন, আমার গ্রাম ভরনীখন্ড এ গ্রামে অনেক কৃষি জমি অনাবাদী রয়েছে। নদীতে পানি না থাকায় মানুষ ইরি মৌসুমে কৃষকরা অনেক ভোগান্তিতে পড়ে। তাই ঘাগুরিয়া নদীর মুখে একটি সুইসগেট কৃষকদের জন্য একান্ত জরুরি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো শাহানুর ইসলাম জানান, এ বছর ৯ হাজার ৯শত ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। সুইসগেটটি হলে এলাকা কৃষকরা অনেক উপকৃত হবে। এবং অনেক অনাবাদী জমি আবাদের আওতায় আসবে।

লাকসাম, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএডিসি (সেচ) উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন বলেন, আমাদের অফিসে ছোটখাটো বরাদ্দ আসে। একটি সুইসগেট হতে যত বড় বরাদ্দ প্রয়োজন। আমাদের অফিসে এত বড় বরাদ্দ দেওয়া হয় না।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড