• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জেলে বসেও বেতন তুলেছেন রাষ্ট্রবিরোধী মামলার আসামিরা

  সাইফুল ইসলাম, শরীয়তপুর

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৭
জেলে বসেও বেতন তুলেছেন রাষ্ট্রবিরোধী মামলার আসামিরা

শরীয়তপুরে রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জেল হাজত বাসকালীন সময়কার বেতনভাতা তুলে নিয়ে গিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ এএসএম এছহাক মিয়ার সহযোগিতায়। বিষয়টি অফিসিয়ালী (লিখিতভাবে) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন না বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুজ্জামান।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা সংক্রান্ত অনিয়ম হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী হবেন বলে বিধান রয়েছে।

ঘটনাটি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার চর সামন্তসার মোহসেনিয়া ফাজিল মাদরাসায় ঘটেছে। যারা বেতন-ভাতা তুলে নিয়ে গিয়েছেন তারা হলেন- অত্র মাদরাসার সহকারী মৌলভী মো. ফজলুল হক, ইতিহাসের প্রভাষক মো. নুর উদ্দিন ও অফিস সহকারী মো. আবদুর রব।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রবিধান-২০০৯ এর ‘ঘ- অর্জিত ছুটি’ বিধি অনুযায়ী জেলহাজত বাসকালীন সময়ে অর্জিত ছুটি ভোগ করতে পারেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু মাদরাসার অধ্যক্ষ এএসএম এছহাক মিয়া ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রব সরদার তাদেরকে অর্জিত ছুটি প্রদান করে সরকারি কোষাগার থেকে তিন লক্ষ ৫৬ হাজার ৮১৭ টাকা উত্তোলন করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বর্তমানেও বেতন ভাতা উত্তোলনে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, ৩০ মার্চ ২০২১ (বুধবার) সকাল ১০:৩০ মিনিটে চরসামন্তসার গোরস্থান সংলগ্ন আবুল কালাম মাঝির বসত ঘরে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামী-ছাত্র শিবিরের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের গোপন বৈঠক থেকে চৌদ্দটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমসহ একাধিক দণ্ডিত ব্যক্তির লিখিত বিশটি উগ্রবাদী বই, ব্যক্তিগত রিপোর্ট বই, মাদরাসার একটি ল্যাপটপসহ চরসামন্তসার মোহসিনিয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী মো. ফজলুল হক, প্রভাষক মো. নুর উদ্দিন ও অফিস সহকারী মো. আবদুর রবসহ ২০ জনকে গোসাইরহাট থানা পুলিশ আটক করে। এ মামলায় তিনজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকও আটক হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়।

আটককৃত ২০ জনসহ ৩২ জনকে আসামী করে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯(সংশোধনী/২০১৩)এর ৬(২)এর (উ)/১০ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয় (গোসাইরহাট থানার ৩০ মার্চ ২০২১ সালের মামলা নং ১৮/৪১)।

গোসাইরহাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. লুৎফর রহমান খান জানান, একজন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমানসহ দুইজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় জেল হাজত বাস ও অভিযুক্ত হওয়ায় বর্তমানেও সাময়িক বরখাস্ত আছেন। আমাদের শিক্ষক সংকট থাকায় তারা স্কুলে এসে হাজিরা দিচ্ছেন কিন্তু বিধি অনুযায়ী শুধুমাত্র খোরাকির টাকা পাচ্ছেন।

তাদের চাকুরি ফেরত পাওয়ার বিষয়ে বলেন, তারা বর্তমানে বরখাস্ত আছেন মর্মে ডিজি অফিসে চিঠি দেওয়া আছে। আদালত থেকে যদি তারা নির্দোষ প্রমাণিত হতে পারেন তবেই তাদের চাকুরি ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অন্যথায় কোনো ভাবেই তারা চাকুরি ফেরত পাবেন না।

শরীয়তপুর জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় মো. ফজলুল হক ও আবদুর রব ৩১ মার্চ ২০২১ সাল থেকে ১৮ জানুয়ারি ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৯ মাস ১৮ দিন তথা ২৯৩ দিন এবং মো. নুর উদ্দিন ৩১ মার্চ ২০২১ থেকে ১৩ জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ২ মাস ১৩ দিন তথা ৭৪ দিন করা নিরাপত্তায় জেল হাজত বাস করেছেন।

কিন্তু মাদরাসাটির অধ্যক্ষ একটি রেজুলেশনের কপি দিয়েছেন গোসাইরহাট উপজেলার শিক্ষা অফিসারকে। ঐ রেজুলেশন অনুযায়ী মো. ফজলুল হক ও আবদুর রব ২৯০ দিন আর মো. নুর উদ্দিন ৭৬ দিন হাজত বাস করেছেন।

মাদরাসার বিধি মোতাবেক দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার দায়ে ম্যানেজিং কমিটি অভিযুক্তদের চাকুরি সাময়িক স্থগিত বা বাতিল করণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাদরাসা অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানালে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বিধি অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হলেও মাদরাসার অধ্যক্ষ জামায়াত নেতা এএসএম এছহাক মিয়া ও সভাপতি আব্দুর রব সরদার শিক্ষক-কর্মচারীদের অর্জিত ছুটি থেকে অন্যায়ভাবে অভিযুক্তদের ছুটি প্রদান করে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলনের ব্যবস্থা করেছেন।

অধ্যক্ষ এএসএম এছহাক মিয়ার নিকট বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করেন। মাদরাসাটির ম্যানেজিং কমিটির নিকট জানতে চাইলে তারাও অপারগতা প্রকাশ করলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে তথ্য অধিকার(তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত) বিধিমালার বিধি ৩ দ্রষ্টব্য ফরম ‘ক’ মোতাবেক আবেদন করলে শিক্ষা অফিসার মাদরাসাটির অধ্যক্ষর সহযোগিতায় আংশিক তথ্য সাংবাদিকদের প্রদান করে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী চর সামন্তসার ফাজিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি ০৭ এপ্রিল ২০২১ সালে শিক্ষক-কর্মচারীদের ফোজদারী মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে একটি সভা হয়।

সভায় মো. নাসির উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীকালে ১১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে ‘দুইজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারীর গ্রেফতার হওয়ার বিষয়ে তদন্তের প্রতিবেদন সম্পর্কে আলোচনা’ শিরোনামে ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়, ‘ফজলুল হক, নুর উদ্দিন ও আব্দুর রহমানের নাশকতা বোধগম্য নয়।’

উল্লেখ্য, এই সভায় সিনিয়র মৌলভী ফজলুল হক, ইতিহাসের প্রভাষক নুর উদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদরাসার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণর অভিযোগ তুলে ও অফিস সহকারী আব্দুর রব মাদরাসার ১টি ল্যাপটপসহ গ্রেফতার হওয়ায় বিধি মোতাবেক চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাময়িক বরখাস্তসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এএসএম এছহাক মিয়া বাস্তবায়ন করবেন বলেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এই সভায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-১৩ এর ০৮ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখের স্মারক নং- শিম/শা-১৩/বিবিধ-১/চাকুরি বিধিমালা/২০১২/০৬ এর ১২ পৃষ্ঠার (আপিল বিধি) ৩(ক) অনুযায়ী চাকুরি হইতে বরখাস্ত/অপসারণ হওয়ার পর অভিযুক্ত কর্মচারী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চাকুরি ফেরত চেয়ে আবেদন করতে পারবেন।

১১ এপ্রিল ২০২১ তারিখ মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক মো. ফজলুল হক, মো. নুর উদ্দিন ও আব্দুর রবকে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত সদস্য সচিব বাস্তবায়ন করে থাকলে শরীয়তপুর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ কারা আইন ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন।

কেননা মো. ফজলুল হক, নুর উদ্দিন ও আব্দুর রব নিয়মিত ভাবে তাদের চাকুরির কর্মস্থলে কাজ করে করে যাচ্ছেন। কারণ ১১ এপ্রিল ২০২১ তারিখের পরেও মাদরাসা থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মো. ফজলুল হক ও আব্দুর রব ৯ মাস ৭ দিন এবং নুর উদ্দিন ২ মাস ২ দিন কড়া নিরাপত্তায় জেল হাজতে ছিলেন।

জেলহাজতে থাকাকালীন গোপনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চাকুরি ফেরত চেয়ে আবেদন করে থাকলে মহাপরিচালক যদি মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাদেরকে চাকুরিতে বহাল রাখেন তবেই তাদের চাকুরি থাকার কথা।

উল্লেখ্য, সাংবাদিকদের তথ্য প্রাপ্তির আবেদন ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে করা হয়েছিল। তথ্য অধিকার আইন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের চাপে তথ্য দিতে বাধ্য হওয়ায় অধ্যক্ষ এএসএম এছহাক মিয়া ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে মর্মে কম্পিউটারে টাইপকৃত একটি রেজুলেশন গোসাইরহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রদান করেছেন যেখানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রবের কোনো স্বাক্ষর নেই।

সভাপতির স্বাক্ষর বিহীন এই রেজুলেশনে দেখা যায়, অর্জিত ছুটি ভোগের মাধ্যমে মো. ফজলুল হক, নুর উদ্দিন ও আব্দুর রব তাদের বেতন বিলের টাকা নিজ নিজ একাউন্টের মাধ্যমে ব্যবহার করেছন। কিন্তু জেল হাজত বাস কালীন সময়ে অর্জিত ছুটি ভোগের বিধি না থাকায় তাদের খোরপোশ বাবদ শতকরা ৫০ ভাগ টাকা প্রদান করে বাকি টাকা রূপালী ব্যাংকের গোসাইরহাট শাখায় মাদ্রাসাটির নিজস্ব সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১১৭২০১০০০০২৮৪ নম্বরে জমা রাখা হবে মর্মে এই সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

রেজুলেশন অনুযায়ী- এক লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০৯ টাকা উক্ত হিসাবে রাখার কথা থাকলেও ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ৯০ হাজার ১০ টাকা রাখা হয়েছে এমন একটি রশিদ মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ শিক্ষা অফিসারকে প্রদান করেছেন।

উল্লেখ্য, এই হিসাব নম্বারের সাথে শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি কোষাগার থেকে প্রদত্ত বেতন-ভাতার কোনো সম্পর্ক নেই।

মাদরাসা অধিদপ্তরের এমপিও (মানথলি পেমেন্ট অর্ডার) আইন অনুযায়ী প্রাপ্যতার অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করা হলে কিংবা বণ্টন করা হলে প্রতিষ্ঠান প্রদান এবং মাদ্রাসা কমিটি দায়ী থাকবেন। এছাড়াও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর ১৮. ১ (চ) বিধি অনুযায়ী বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ উত্তোলনে অনিয়মের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন-ভাতা স্থগিত/বাতিল করা হবে এবং পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৮.২ এ বলা হয়েছে- বেতন ভাতা স্থগিত করণের ৬০ কর্ম দিবসের মধ্যে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এমপিও স্থায়ীভাবে বন্ধ করা যাবে মর্মে বিধান রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সামন্তসার ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রব সরদার বলেছেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ সাহেব বলেছেন অর্জিত ছুটি থেকে বেতন প্রদান করা যাবে তাই আমি সভায় ঐভাবে তাদের বেতন প্রদান করেছি।

এ বিষয়ে গোসাইরহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুজ্জামান বলেছেন, মাদরাসা অধ্যক্ষর প্রদত্ত কাগজ অনুযায়ী আপনারা লেখালেখি করুন। এছাড়া তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হোননি।

শরীয়তপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শ্যামল চন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, বেতন সংক্রান্ত কোনো আর্থিক অনিয়ম ঘটলে আশা করি মাদরাসা অধিদপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড