সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার গুয়াগাতিতে জোরপুর্বক জমি দখল করে কৃষকের চারা গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বরহর ইউনিয়নের গুয়াগাতি গ্রামে মৃত কোরবান আলীর ছেলে মো. আবু বক্কারের (৬৫) ২০টি আমগাছ ও ২০টি কাঠাল গাছ পুর্ব শত্রুতার জেরে তারই ভাই হযরত আলী (৭০), তার ছেলে মো. আব্দুল মান্নান (৪৫), তার স্ত্রী চুমকি খাতুন (৪০) গত ২৩ ডিসেম্বর রাতের আধারে কেটে ও উপরিয়ে ফেলে। এতে বৃদ্ধ আবু বক্কারের প্রায় ১০ হাজার টাকার ক্ষতি হয় বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ আবু বক্কার বাদী হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আবু বক্কার বলেছেন, ২৭ শতক জমি আমাদের তিন ভাইয়ের নামে কেনা। আমার ভাতিজা আব্দুল মান্নান বিভিন্ন জায়গায় থেকে ভিটা জমি বিক্রি করে দিয়ে এখন এখানে ঘর তোলে। অংশ মোতাবেক ৯ শতক জায়গা পেয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, সে এখন জোরপুর্বক আমার ও আমার ভাইয়ের ১৮ শতক জায়গাসহ দখল দিতে চায়। আমরা রাস্তার পাশ থেকেই ৯ শতক জায়গা ছেড়ে দিয়েছি বাড়ি করার জন্য। কিন্তু সে পুরো জমিটায় দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার দেনদরবারও হয়েছে। আমরা ফসল শাকসবজি লাগালে সে রাতের আধারে বার বার নস্ট করে ফেলে যার কারনে আমরা গাছ লাগাই সে গাছও তুলে ফেলেছে।
ভুক্তভোগীর দাবি, আমি বৃদ্ধ মানুষ কোনো ছেলে নেই ও আমার আরেক ভাইয়ের ছেলেও দুর্বল হওয়ায় আমাদেরকে আব্দুল মান্নান বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। এখন ২৭ শতক ধরেই দখল নিতে চায়। আমাদের নামে কোর্টে মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন সময় থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে। এমন কি আমার মেয়ের জামাই এর নামেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। আমরা প্রসাশনের কাছে মান্নানের বিচার চাই।
অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান বলেন, আমার ৯ শতক জায়গা দখল নিয়েছি। তাদের ও এখানে জমি আছে, আমি দিব তবে বাড়িতে একটু ঝামেলা আছে সেগুলো মিটলেই জায়গায় আসতে দেব।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড