মো. হাছান, মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা)
কুমিল্লা লাকসাম-নোয়াখালী রেল লাইনের তুগুরিয়া নামক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে সিএনজি চালক ও তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় তুগুরিয়া-মুন্সিরহাট সড়কের তুগুরিয়া রেল লেভেল ক্রসিংয়ে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, সকালে মনোহরগঞ্জ উপজেলা মুন্সিরহাট থেকে নাঙ্গলকোটের তুগুরিয়া যাওয়ার পথে রেলক্রসিং পারাপারকালে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশাটির (কুমিল্লা-থ-১১-৪৮৫৪) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি আটকে পড়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ট্রেনটি থামলে সিএনজিটি সরিয়ে নেয়ার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক উত্তর হাওলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০), যাত্রী একই গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মাকছুদুর রহমান (৬৫), মৃত আবু তাহেরের ছেলে হাবিবুর রহমান (২২) ও নাঙ্গলকোটের শাকতলি গ্রামের আফজল হোসেনের স্ত্রী মহিফুল বেগম (৪৫)।
এ বিষয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার জানান, রেল লাইন পার হওয়ার সময় সিএনজিটি থেমে যায়। ঐ মুহূর্তে ট্রেন এসে পড়ে। এতে সিএনজি অটোরিকশায় থাকা চারজন মারা যান। দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়েছে।
উত্তর হাওলা গ্রামে শোকের মাতম তুগুরিয়ায় ট্রেন-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি উত্তর হাওলা গ্রামে। ঐ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পাশাপাশি তিন বাড়িতে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ। নিহতের খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন দূরের আত্মীয়-স্বজনরা। তাদের সান্ত্বনা যেন বাঁধ মানছে না স্বজন হারানোর বেদনায়।
অপর দিকে মুন্সিরহাট গ্রামে গিয়ে দেখা যায় স্ত্রী মহিফুল বেগমকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পঙ্গু আফজল হোসেন। পিতা আবদুল হাইয়ের বাড়িতে স্বজনরা আহাজারি করছেন। শত শত আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশী তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড