• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সার ক্রয়ে দীর্ঘসূত্রিতা

আগাম ফুলকপি চাষে লাভবান কৃষক

  হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম

২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৫৯
আগাম ফুলকপি চাষে লাভবান কৃষক
জমি থেকে ফুলকপি তুলছেন কৃষকরা (ছবি : অধিকার)

কুড়িগ্রামে আগামভাবে ফুলকপি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হলেও সঠিক সময়ে সার ও কীটনাশক প্রয়োগে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ফলন ও ফুলকপির সাইজ আশানুরূপ হয়নি বলে অভিযোগ চাষিদের।

এ দিকে লাভের আশায় বিভিন্নভাবে ঋণ করে জমি পরিচর্চা, কীটনাশক, সার ও অতিরিক্ত শ্রমমূল্য মেটাতে হিমসিম অবস্থা কৃষকদের। প্রশাসন বলছে ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের কোনো সমস্যা হবে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় সাত হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও আগামভাবে শাকসবজি চাষ লাভজনক হওয়ায় এবার তিন হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে আগাম চাষাবাদ করেছে কৃষকরা।

এরই মধ্যে বাজারে উঠেছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি। গতবছর সবজি চাষ করে বড় ধরণের লোকসানের মুখে পরেছে কৃষকরা। ফলে এবার স্বল্প পরিসরে সবজি চাষ করে বেশ লাভের মুখ দেখেছেন তারা।

তবে কৃষকদের অভিযোগ- সারের অতিরিক্ত মূল্য ও সময়মতো জমিতে সার প্রয়োগ করতে না পারায় ফুলকপির কিছুটা ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। সাইজও ছোট হয়ে গেছে। ফলে সবজি চাষিরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।

রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর গ্রামের ফুলকপি চাষি শামসুল আলম জানান, সার থাকার পরও সার পাই না। ডিলাররা বলে স্লিপ আনেন। ও দিকে বিএসরা বলে ডিও পাই নাই। এমন হয়রানী করি কি চাষাবাদ করা যায়। শস্য পর্যন্ত পাঁচদিন ঘুরি বিএসের কাছে ২৫ কেজি সারের স্লিপ পাইছি। সময়মতো সার দিতে না পারায় ফলন ভালো হয় নাই। এবারে ফুলকপি আন্ডার সাইজ হয়া গেইছে।

হোসেন আলী নামের অপর এক কৃষক জানান, সার ডিলারের গুদামোত রাখছে। হামরা গেলে কয় ডিও পাই নাই। অথচ খোলা বাজারোত ১৪০০ টেকা বস্তা। যেটে সরকার সাড়ে সাতশ টেকায় কৃষকোক বস্তা দেওয়ার কথা।

যদিও মহিধর গ্রামের পাইকার আইজুল ইসলাম জানান, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার কপির দাম ভালো পাইতেছি। প্রতিবারে ধরা খাই। এবার ধরা খাই নাই। তবে এবারে আরও লাভ হইতো যদি ঠিকমতো কৃষকরা সার পাইতো। সার না পাওয়াতে ফুলকপির সাইজ কম হইছে।

রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর গ্রামের ফুলকপি চাষি আবুল হোসেন বলেন, এবার আমি ৬০ হাজার টাকা খরচ করে ফুলকপি লাগিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৯০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছি। আমা করছি একলক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রিবাট্টা হবে।

এ দিকে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আগামভাবে যারা ফুলকপি লাগিয়েছেন তারা ভাল লাভ পাচ্ছে। আমাদের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আশা করা যায় শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের কোন সমস্যা হবে না। আমরা টার্গেট অর্জন করতে পারবো।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড