নরসিংদীর পলাশে বাড়ছে লিচুর বাগান

একসময় হাতেগোনা কিছু বাড়িতে একটি-দুটি লিচুগাছ থাকলেও বর্তমানে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বেড়েছে লিচু বাগানের সংখ্যা। এর মধ্যে অন্যতম উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের রাবান, টেঙ্গরপাড়া, চর্ণগরদী আর গজারিয়া ইউনিয়নের সরকারচর, ইছাখালী ও খাসহাওলাসহ চরসিন্দুর ইউনিয়নের কিছু এলাকা।

মাটির গুণগতমান খুবই ভালো এখানে; দোআঁশ ও এঁটেল, যা লিচু চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিগত বছরগুলোতে লিচু চাষিরা তাদের বাগান থেকে লিচু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করায় লিচু চাষের দিকে ঝুঁকছে স্থানীয় চাষিরা।

মাঘের শেষ ও ফাল্গুনের শুরুতে আসতে শুরু করে মুকুল। তবে এবার মৌসুমের শুরুতে শীতের প্রকোপ কম থাকায় এখানকার লিচুর বাগানগুলোতে মুকুল এসেছে দেরিতে।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর উপজেলার ১৫ হেক্টর জমির লিচু বাগানে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। লিচু চাষিরা এখন লিচুর বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত মৌসুমের মতোই লিচুতে লাভবান হবেন কৃষকরা। এবার লিচুর হার্ভেস্টিং সময় আর ইদুল ফিতর কাছাকাছি সময়ে পড়বে। সবকিছু ঠিক থাকলে রমজান মাসের শেষ ভাগে ইফতারিতে দেখা মিলবে টসটসে রসালো লিচুর- এমনটাই জানাচ্ছেন চাষিরা।

রাবানের লিচু চাষি শুভাশ চন্দ্র ধর জানান, ‘আমার বাগানের প্রতিটি লিচুগাছে মুকুল আসার পর এখন ফুল ফোটাও শেষপর্যায়ে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে।’

সরকারচর গ্রামের লিচুচাষি জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘আমার বাগানের সবগুলো গাছে ফুল ফোটা শেষে প্রতিটি লচকায় গুটি হচ্ছে। গতবছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এ অঞ্চল থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হয়েছে।’

অন্যদিকে ইছাখালী গ্রামের মফিজুল ইসলাম জানান, ‘আমার তিনটি লিচু বাগান রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা এখন বাগান কেনার জন্য আসছেন। গুটি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বাগান কিনে নেন।’

আরও পড়ুন : মানুষ বিএনপিকে লাল কার্ড দেখিয়েছে : নানক

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু নাদির এসএ সিদ্দিকী জানান, ‘মুকুল থেকে গুটি হতে শুরু করলে হপার পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে একবার বিষ প্রয়োগ করতেই হয়। ছত্রাক থেকে বাগানকে রক্ষা করতে কীটনাশক স্প্রে করতে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক, জৈব সার ও সেচ প্রদান করা হচ্ছে। মুকুল দেরিতে এলেও ফলন সন্তোষজনক হবে বলে আশা করছি।’

ওডি/এএম