জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ গহিরা এলাকায় ছয়টি বাড়ির লাশ দাফনের জন্য কবরস্থানে নেওয়ার কোনো সড়ক নেই তাই মৃতের লাশ নিয়ে যেতে হয়েছে হাঁটু পানি মাড়িয়ে। বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে এ পরিস্থিতিতে চললেও কোনো সমাধান হয়নি।
গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে স্থানীয় বানুর বাপের বাড়ির এয়ার মোহাম্মদ (৪৬) মারা গেলে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা ছরাভিটা কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় পড়েছে দুর্ভোগে। জানাজার পর দাফন সম্পন্ন করতে হাঁটু পানি পার হয়ে লাশ নিয়ে যায় কবরস্থানে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে এ কবরস্থানে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি সাগরের জোয়ারের পানিতে বিলীন হয়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়েই কাঁদা ও পানি পেরিয়ে মরদেহটি কবরস্থানে নেওয়া হয়।
স্থানীয় নাছির উদ্দিন বলেন, খোর্দ্দ গহিরা এলাকার রোকেয়া বাপের বাড়ি, হাদিয়ার বাপের বাড়ি, বানুর বাপের বাড়ি, কালোর বাপের বাড়িসহ ছয়টি বাড়ির একমাত্র কবরস্থান ছরারভিটা। বিগত সময়ে সাগরের জোয়ারের পানিতে কবরস্থানে যাতায়াতের সড়কটি বিলীন হয়ে গেলে আমরা ইউনিয়ন পরিষদসহ জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার সড়ক মেরামতের দাবি জানাই। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
স্থানীয় শামসুল আলম বলেন, কবরস্থানের চারপাশে বছর জুড়ে পানি থাকে, যাতায়াতের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো দিয়েছি আমরা। সড়ক না থাকায় কাদা ও পানির উপর দিয়েই লাশ নিতে হয়।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আমিন শরীফ বলেন, কাদা ও পানির উপর দিয়ে এভাবে লাশ নিয়ে যাওয়া বিষটি অমানবিক। সড়ক মেরামত ও নির্মাণের বরাদ্দের কোনো সমস্যা নেই, আমি সবে মাত্র নির্বাচিত হয়েছি, যত দ্রুত সম্ভব ওই কবরস্থানে যাওয়ার সড়কটি মেরামত করে দেওয়া হবে।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড