নাজির আহমেদ আল-আমিন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাদকবিরোধী আন্দোলনের নেতা আসিফুল হকের ওপর মাদক কারবারিরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভৈরবের স্টেডিয়াম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আসিফুল হক উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স সড়ক এলাকার আজিজুল হকের ছেলে। তিনি ঢাকার ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় নবজাগরণ কলেজপাড়া যুব সংঘের সভাপতি।
অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় কলেজপাড়া এলাকার মো. তপু (৩২) নামের এক যুবকের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার তপুকে প্রধান আসামি করে ভৈরব থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মো. তপু সরকারি হাজি আসমত কলেজ এলাকার ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। এলাকায় তিনি মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। কলেজপাড়া এলাকায় এখন মাদক সেবন ও বিক্রি, দুইই বেড়েছে। একাধিক চক্রের মাধ্যমে মাদকের কারবার পরিচালিত হচ্ছে। তপু একটি চক্রের নেতৃত্বে আছেন। প্রতিদিন তপুর তত্ত্বাবধানে অসংখ্য মানুষ বিশেষত তরুণেরা ইয়াবা সেবন করছেন। মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ বেড়ে গেছে। আসিফুল হক তার সংগঠনের মাধ্যমে এসবের প্রতিবাদ করে আসছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হন তপু এবং এই বিষয়ে চুপ থাকতে হবে বলে হুমকি দেন।
শনিবার সন্ধ্যায় আসিফকে স্টেডিয়াম এলাকায় পায় তপুর লোকজন। তখন তারা আসিফকে ধাওয়া করে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আসিফকে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে আসিফুল হক বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করে চলাটা আমার অপরাধ। মাদকের বিরুদ্ধে কথা না বলার জন্য মাদক কারবারিদের পক্ষ থেকে ক্রমাগত হুমকি পেয়ে আসছি। সম্প্রতি তপু আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে।’
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক তাকে জানিয়েছেন—কয়েকটি আঘাতের মধ্যে পিঠে ও ডান হাতের আঘাতটি গুরুতর।
মামলা হওয়ার পর তপুসহ তার সহযোগীরা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তপুর এক সহযোগী বলেন, তপু মাদক সিন্ডিকেটের নেতা—এ তথ্য সঠিক নয়।
আরও পড়ুন : ভূঞাপুরে সাবেক চেয়ারম্যানের বাসভবনে আগুন
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাকিব হাসান বলেন, মামলা হয়েছে হামলা করার ধারায়। বাদী আসিফুলের ফুফাতো ভাই আসাদ মিয়া। মামলায় অভিযুক্ত মোট পাঁচজন। অপর চারজন হলেন তপুর সহযোগী নবী হোসেন, কালাম মিয়া, মো. হৃদয় ও মামুন মিয়া। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি।
ওডি/এএম
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড