রফিকুল ইসলাম রফিক, গাইবান্ধা
অনিয়মকে প্রশ্রয় দিয়ে অন্যায়ভাবে ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ২০২১ সালের নির্বাচন বানচালের প্রতিবাদ ও নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে গাইবান্ধার সম্মিলিত গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক ও সভাপতি মাকছুদার রহমান জাহান, সংগঠনটির সাবেক পরিচালক ও সহ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু, সাবেক পরিচালক নওশের আলম ও খান মো. সাইদ হোসেন জসিম।
বক্তারা বলেন, সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে অন্যায়ভাবে ২০২১ সালের নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা নির্বাচনে নিশ্চিত হেরে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরেই এই অপকৌশল করে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট করেছে। যা তাদের নির্বাচন বানচালের অপকৌশল মাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাবেক পরিচালক ও সভাপতি মাকছুদার রহমান শাহান তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ২৫ ডিসেম্বর শনিবার গাইবান্ধার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ২০২১ সালের দ্বি বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান চেম্বার পরিচালক রকিবুল হাসান সুমন গাইবান্ধা চেম্বারের সচিবসহ ১২ জনকে বিবাদী করে নির্বাচনি আপিল বোর্ড ও এফবিসিসিআই এর আর্বিট্রেশন ট্রাইব্যুনালকে পাশ কাটিয়ে ভুয়া ভোটার থাকার অভিযোগ তুলে গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে বিভাগে রিট পিটিশন দাখিল করে। অথচ নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী গত ৩ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
৪ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত খসড়া ভোটার তালিকার আপত্তি তোলার সময় ছিল। উক্ত সময়ে তিনি কোনোও আপত্তি দাখিল করেন নাই। পরে ১৬ নভেম্বর চূড়ান্ত বৈধ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হলে তার দুই দিন পর ১৮ নভেম্বর তিনি ভোটার তালিকার একটি আপত্তি পত্র চেম্বারের সচিবের নিকট দাখিল করে বিগত ৯ নভেম্বর তারিখ অনুসারে আপত্তি পত্রটি গ্রহণ করার জন্য বলেন।
সচিব তাতে রাজি নাহলে বর্তমান সভাপতি শহিদুল ইসলাম শান্ত সচিবকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ৯ তারিখের আপত্তি পত্রে সচিব প্রাপ্ত হয়েছে মর্মে স্বাক্ষর করে নেন। পরে ওই আপত্তি পত্র দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দাখিল করলে আদালত ৬ মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতাদেশ দেন।
পরে বিষয়টি জানার পর চেম্বারের সচিব নির্বাচন ও কার্যক্রম গতিশীল রাখার স্বার্থে গত ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোটের আপিল বিভাগে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য রিট পিটিশন দাখিল করেন। পরে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে যেহেতু চেম্বার অব কমার্স এফবিসিসিআই এর আওতাভুক্ত সেহেতু আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রকিবুল হাসান সুমনকে এফবিসিসিআই এর আর্বিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে উল্লিখিত বিষয়ে আবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন এবং আবেদন প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া তিনি আরও উল্লেখ করেন, তাদের প্যানেলটিক অবৈধভাবে বিজয়ী করার জন্য সদস্য অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সাব কমিটির আহবায়ক চেম্বারের সহ সভাপতি কামাল হোসেন ও বর্তমান সভাপতি শহিদুল ইসলাম শান্ত মিলিত ভাবে বেশ কিছু অবৈধ ভোটার অন্তর্ভুক্ত করেন। তার পরেও তাদের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে নির্বাচন বানচাল ও তাদের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতেই এই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছেন তারা।
এসময় তিনি চেম্বারের নির্বাচন ও গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিকে একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ার নিমিত্তে গাইবান্ধার সকল ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন : সোনাগাজীতে ভোট কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যাওয়ায় ১৩ এজেন্ট আটক
একই সাতে সংবাদ সম্মেলনের সঠিক বিষয়টি তুলে ধরার অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে এই প্যানেলের অন্যান্য সদস্য ও গাইবান্ধার বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড