আতিকুর রহমান, ঝালকাঠি
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান পরিদর্শন করেছেন সাবেক নৌপরিবহণমন্ত্রী শাহজাহান খান। আগুন লেগে লঞ্চের ৪১ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে শতাধিক মানুষ। নদীতে লাফিয়ে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই।
তাদের সন্ধানে সুগন্ধার তীরে অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা। কেউ আবার ট্রলার নিয়ে নদীর বিভিন্ন প্রান্তে খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রিয়জনকে। কারো হাতে নিখোঁজদের ছবি। তা নিয়ে নদীতীরের বাসিন্দাদের দেখাচ্ছেন আর বিলাপ করছেন। কেউ আবার নদীতীরের মিনিপার্ক, ডিসিপার্ক, লঞ্চঘাট এবং ঘটনাস্থল দিয়াকুল এলাকায় ঘুরছেন। অন্তত নিখোঁজ স্বজনদের মৃতদেহ যেন বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন, সেই অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।
এদিকে শনিবার সকাল ৮টা থেকে ঝালকাঠি ও বরিশালের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল লঞ্চঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। নদীতে লাফিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে ডুবুরিদল সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করবেন জানিয়েছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব তোফায়েল হাসানের নেতৃত্বে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ৭ সদস্যের তদন্ত দল সকাল সাড়ে ১০টায় ঝালকাঠির লঞ্চঘাট এলাকায় এসে আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি পরিদর্শন করেন। লঞ্চের ইঞ্জিন রুমসহ বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে তদন্ত করছেন তারা। তাদের সঙ্গে ছিলেন সাবেক নৌপরিবহণমন্ত্রী শাহজাহান খান।
এ সময় তিনি বলেন, তদন্ত করে এ বিষয়ে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদের রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারব দুর্ঘটনার আসল কারণ। যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নৌমন্ত্রণালয় গঠিত ৭ সদস্যের কমিটির অন্যরা হলেন নৌপুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আলম, ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, শিপ সার্ভেয়ার মো. তাইফুর রহমান, নৌপরিবহণ সংস্থার পরিচালক মামুনুর রশিদ, বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।
তাছাড়া জেলা প্রশাসন গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটিও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আলম, সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবেকুন্নাহার, ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া এবং বিআইডব্লিউটিএ প্রতিনিধি।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব তোফায়েল হাসান জানান, শুক্রবার সকালে তদন্ত কমিটি ঘোষণার সাথে সাথেই আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়। সরেজমিনে লঞ্চের ক্ষতির পরিমাণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে পরিদর্শন করেছি। রাতে প্রথমে যেখানে গিয়ে থেমেছিল সেখানে গিয়েও লোকজনের সাথে কথা বলবো। এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড