নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত, আদমদীঘি, বগুড়া
একসময় খাল-বিলে প্রচুর শাপলা ফুল দেখা যেত। লাল কিংবা সাদা শাপলা ফুল দেখে মুগ্ধ হন না- এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা। তার সাথে বিপন্নের পথে জলাভূমির ফল ‘ঢ্যাপ’।
শাপলার ফলকেই ‘ঢ্যাপ’ বলা হয়। কিছু কিছু আঞ্চলিক নামে ‘ভেট’ বলা হয়। একসময় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিরাট একটা অংশ শাপলা ফুলের ডাঁটা তরকারি হিসেবে খেতেন। শুধু তাই নয়, এই ‘ঢ্যাপ’ আমাশয়, বদহজম এবং রক্ত আমাশয় নিরাময়ের জন্য বেশ কার্যকর বলেও জানা গেছে। কিন্তু ‘শাপলা ফুল’ বা ‘ঢ্যাপ’ প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। মাঝে মধ্যে আশাশুনি উপজেলার বাজারগুলোতে ‘ঢ্যাপ’ বিক্রি করতে দেখা যায়।
আদমদীঘি উপজেলায় একসময় অসংখ্য খাল-বিল ছিল। যেখানে এ ফুল পাওয়া যেত বেশি। এসব খাল-বিলে প্রচুর পরিমাণে শাপলা ফুল ফুটত। এতে পাওয়া যেত প্রচুর পরিমাণে ঢ্যাপ। কিন্তু আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে যাচ্ছে বিল। তার সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা ফুল।
শাপলার ফল বা ঢ্যাপ দিয়ে চমৎকার সুস্বাদু খই ভাজা হয়। যেটি গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে ‘ঢ্যাপের খই’ নামে পরিচিত। এই ঢ্যাপের মধ্যে অসংখ্য বীজদানা থাকে। এসব বীজদানা রোদে শুকিয়ে চাল তৈরি করা হয়। ঢ্যাপের পুষ্টিকর চাল থেকে তৈরি করা খই ও মোয়া অত্যন্ত সুস্বাদু। খাল-বিল বিলীন ও জমিতে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলো ধ্বংসের কারণে এ সুস্বাদু ফল বিলুপ্ত হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকেই।
আরও পড়ুন : নোয়াখালীতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ক মতবিনিময় সভা
উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার ব্যবসায়ী আরমান হোসেন পলাশ বলেন, ‘একসময় উপজেলার অনেক দরিদ্র মানুষ শাপলা ফুলের মৌসুমে শাপলার ঢ্যাপ দিয়ে ভাত ও খই বানিয়ে খেত। গ্রাম থেকে শাপলা সংগ্রহ করে শহরে গিয়ে শাপলা বিক্রি করতো অনেকে। কিন্তু এখন এইগুলা দেখাই যায় না।’
ওডি/এএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড