রূপগঞ্জে ইটভাটা সহ ৮৪ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পৃথক অভিযানে ইটভাটা ও টিকে গ্রুপের অবৈধ স্থাপনাসহ প্রায় ৮৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার তারাবো পৌরসভা, কাঞ্চন পৌরসভা ও দাউদপুর ইউনিয়নে চলে এ উচ্ছেদ অভিযান। তারাবোর অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটি এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংসার। আর কাঞ্চন পৌর এলাকার অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটি এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুল্লাহ।

জানা যায়, তারাবো এলাকায় সুলতানা কামাল সেতু সংলগ্ন টিকে গ্রুপের বাউন্ডারি দেয়ালসহ ৬টি টিনশেড স্থাপনা, তারাবো বাজার এলাকায় নদীর জমি দখল করে গড়ে তোলা ১টি পাকা দোতলা ভবনের আংশিক, ১০টি সেমিপাকা দোকান, ৬টি করাতকলের বর্ধিতাংশ, ১১টি কাঁচাপাকা স্থাপনাসহ ৩৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় নদীর কমপক্ষে দেড় একর জমি দখলমুক্ত হয়। উচ্ছেদকৃত জমিতে শীঘ্রই সীমানা পিলার স্থাপন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ শুরু হবে।

অপর দিকে, কাঞ্চন পৌর এলাকা শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে শুরু করে দাউদপুর ইউনিয়ন এলাকার ১৫টি ইটভাটাসহ প্রায় ৫০টি অবৈধ ভাবে দখল করা জমি দখলমুক্ত করা হয়। এসময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন, বিআইডব্লিউটি এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুল্লাহ। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঘোরাশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক নুর হোসেন, তিতাস গ্যাস রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও শাখার কারিগরি টেকনিশিয়ান আরিফ হোসেন, খৈয়াম ব্যাপারীসহ আরও অনেকে।

বিআইডব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিএস জরিপ অনুযায়ী নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নতুন সীমানা পিলার স্থাপন নিয়ে জটিলতা ছিল। সেগুলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরসন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর তীরভূমি উদ্ধার করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও যাতে দ্রুত শুরু করা যায় সে লক্ষ্যে নদীর দুই পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এছাড়া শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।

আরও পড়ুন : সীমান্ত পিলার পাচার চক্রের দুই সদস্য আটক

ঘোরাশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মো. নুর হোসেন বলেন, আজকে ১৫টি ইট ভাটাসহ মোট ৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামীকালও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে যারাই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তারা অতি দ্রুত সরিয়ে ফেলুন, অন্যথায় আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নদী রক্ষা করার দায়িত্বও সবার।

ওডি/জেআই