• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইউপি নির্বাচনে আ. লীগের রেজ্যুলেশনে জাতীয় পার্টির সভাপতি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ নভেম্বর ২০২১, ১০:১৩
ইউপি নির্বাচন
ইউপি নির্বাচন (ছবি : সংগৃহীত)

চর্তুথ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়পুরহাটের ভাদসা ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আ. লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির ইউনিয়ন শাখার সভাপতির নাম তৃণমূলের রেজ্যুলেশন করে কেন্দ্রে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যানরা স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় থাকলেও আত্মীয়করণে ব্যস্ত জেলার নেতারা।

আর তাই যোগ্যদের বাদ দিয়ে আত্মীয়করণে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের ত্যাগীরা- এমনটাই দলের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলা ভাদশা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান সারোয়ার হোসেন স্বাধীন। সহ-সভাপতি (প্রস্তাবিত) জয়পুরহাট জেলা আ. স্বেচ্ছাসেবকলীগ। সরোয়ার হোসেন স্বাধীনের আপন বড় ভাই, ২০১৬ সালের বিপুল ভোটে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে দুই মাসের মধ্যে হায়দার আলীর পরিবার পরিকল্পিতভাবে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। সেই হায়দার আলী বর্তমারে ভাদসা ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের চাচা।

ভাতিজা দলের ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাচা জাতীয় পার্টির নেতা হলেও আ. লীগের রেজ্যুলেশনে তার নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছে বলে একটি অভিযোগ দলের প্রধান কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে। কথিত বর্ধিত সভার নামে ভোট করে হায়দার আলীকে উপজেলা ও জেলা রেজ্যুলেশনে এক নম্বর করে তালিকা পাঠানোর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় নেতারাই।

তবে নিজেকে ইউনিয়ন আ. লীগের সদস্য হিসেবে দাবি করে হায়দার আলী বলেন, ‘আমি কখনও জাতীয় পার্টি করিনি। আমি ইউনিয়ন ও থানা আ. লীগের সদস্য হিসেবে রয়েছি।’

এসব বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘তিনি (হায়দার আলী) দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের (জাতীয় পার্টির) সঙ্গে রয়েছেন। তিনি ভাদসা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তবে আমি শুনেছি, তিনি নাকি আ. লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন। আ. লীগের মনোনয়ন কেনার আগে তো জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করতে হবে। সে কবে থেকে আ. লীগ করে তা তো জানি না। তবে সে আ. লীগ করলে আমরা তাকে বহিস্কার করব।’

এদিকে একই উপজেলার ধলাহারা ইউনিয়নের জন্য মো. মাজেদুর রহমান, দোগাছী ইউনিয়নের জন্য মো. সামসুল আলম (সুমন), ভাদসা ইউনিয়নের জন্য মো. সারোয়ার হোসেন স্বাধীন (বর্তমান চেয়ারম্যান), মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নে মো. আতাউর রহমান (বর্তমান চেয়ারম্যান), পুরানাপৈল ইউনিয়নে মো. খোরশেদ আলম (বর্তমান চেয়ারম্যান), আমদই ইউনিয়নে মো. শাহানুর আলম সাবু (বর্তমান চেয়ারম্যান), বম্বু ইউনিয়ন মো. ফারুক হোসেন, জামালপুর ইউনিয়নে মো. হাসানুজ্জামান মিঠু (বর্তমান চেয়ারম্যান) ও চকবরকত ইউনিয়নে মো. শাজাহান আলী (বর্তমান চেয়ারম্যান) নাম তৃণমূল থেকে বর্ধিত সভার মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। তাদের সকলেরই প্রতিটি ইউনিয়নে জনপ্রিয়তা রয়েছে।

করোনাকালীন সময়ে তারা অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের পাশে ছিলেন। তবে জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের নামে একাধিক অভিযোগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা পড়েছে। সেখানে তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় এবং সমগ্র জেলায় তদবিরকারক হিসাবে তার নাম প্রতিষ্ঠিত বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান ও এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তিরা দলীয় মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীক নির্বাচিত হবে বলে জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

ওডি/এএম

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড