মো. রুম্মান হাওলাদার, পিরোজপুর
দাফনের দুই মাস পর ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় কৃষক বারেক গাজীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামের ওই কৃষকের পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
বারেক গাজী (৬০) ওই গ্রামের মৃত শের আলী গাজীর ছেলে।
এর গত ৬ সেপ্টেম্বর নিহত কৃষক বারেক গাজীর ভাই হালিম গাজী বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে পিরোজপুর জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. প্রিতম কুমার পাইক, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পিরোজপুরের পুলিশ ইন্সপেক্টর আহসান কবির, মঠবাড়িয়া থানার এসআই পলাশসহ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ওই লাশ উত্তোলন করা হয়।
মামালার সূত্রে জানা যায়, আদালতে ৩০২ ধারায় (পেনাল কোড) মামলাটি দায়েরের পর আদালত মামলাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আহসান কবির সঙ্গীয় ফোর্সসহ প্রাথমিকভাবে সরেজমিনে মামলাটি তদন্ত করেন। এরপর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীকালে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর অনুমতি দেয়। সে বুধবার লাশটি উত্তোলন করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আহসান কবির দৈনিক অধিকারকে বলেন, দাফনের দুই মাস পর বুধবার সকাল ১০টার দিকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট, মেডিক্যাল অফিসার ও সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মৃত বারেক গাজীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন : পাটুরিয়ায় ১৯টি যানবাহনসহ ফেরি ডুবি
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাতে ধানের বীজতলা থেকে দুই কোচা (আঁটি) বীজ নেওয়ার সন্দেহে কৃষক বারেক গাজীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করেন প্রতিপক্ষ ও ভাইজোড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী হাওলাদারের ছেলে ইউনুস হাওলাদার। এতে ওই কৃষক মারা যায়। পরবর্তীকালে ৬ সেপ্টেম্বর ওই কৃষকের ভাই হালিম গাজী বাদী হয়ে ইউনুস হাওলাদারকে একমাত্র আসামি করে আদালতে মামলা করেন।
এ দিকে, ইউনুস হাওলাদার মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে বারেক গাজী আমার বাড়িতে এসে ক্ষমা চায়। আমি তাকে ক্ষমা করে দেই। পরে আমার পা জড়িয়ে ধরতে চাইলে আমি পা ধরতে দেইনি। এরপর বারেক গাজী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাড়িতে খবর দেই।’
ওডি/নিলয়
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড