আল- মামুন, জয়পুরহাট
শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর জন্য আমরার চেয়ারম্যান আল মামুন।
সেই ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে পুরস্কার জিতে নিয়েছে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের গংগাদাসপুর গ্রামের ১০ জন শিশু-কিশোর।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) ফজরের নামাজের পর গংগাদাসপুর জামে মসজিদে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
আলোর জন্য আমরা এর চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন যে, ১৫ বছরের কম বয়সের কিশোররা যদি একটানা ৪০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, তাহলে তাদেরকে পুরস্কিত করা হবে।
সেই ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে এলাকার অনেক কিশোরই নামাজ আদায় শুরু করেন। টানা ৪০ দিন নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়েছেন, এমন ১০ জনের হাতে শনিবার ফজরের নামাজের পরে সেই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
শিশু-কিশোরদেরকে নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করে মসজিদমুখি করার লক্ষ্যে আয়োজিত এমন উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আলোর জন্য আমরা'র চেয়ারম্যানের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।
বিষয়টি সম্পর্কে আল মামুন বলেন, ঘোষণার পর থেকে প্রায় ৩৫-৪০ জন কিশোর মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা শুরু করে।
তারা ঠিকমতো নামাজ আদায় করছে কিনা তা হিসার রাখার জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর হাজিরা নেওয়া হতো।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে তাদের শুধু নামাজই পড়ানো হয়নি। বরং সঠিকভাবে নামাজ শিক্ষা ও নামাজ সম্পর্কে জরুরি মাসয়ালাও শেখানো হয়, সেই সঙ্গে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা ছোটদের সেন্হ এবং নামাজের প্রতি মানুষকে আহবানের পাশাপাশি দ্বীনি ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহণে কীভাবে উদ্ধুদ্ধ হলেন, জানতে চাইলে আল মামুন জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান কিশোরদের মসজিদমুখি করতে এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। সে থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, একদিন পত্রিকায় দেখি, ভারতেও এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমি সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হই এবং একদিন মসজিদে নামাজ পড়ে বিষয়টি উত্থাপন করি। আলহামদুলিল্লাহ উপস্থিত মুসল্লিরা একাত্মতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন : বিলুপ্তির পথে ব্রিটিশ আমলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক
আল মামুন এর এমন কার্যক্রমে এলাকার শিশু-কিশোররা নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এরপর থেকে শিশুরা নিয়মিত নামাজে আসছে বলেও জানান তারা।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড