• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বদলে যাবে সাজেকের অর্থনীতি

  এম.কামাল উদ্দিন,রাঙামাটি

১১ অক্টোবর ২০২১, ১২:৫১
রাঙামাটি
সাজেক ভ্যালি (ছবি : অধিকার)

সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বদলে যাবে সাজেকের অর্থনীতি। পর্যটন নগরী সাজেক ভ্যালীতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পর্যটন স্পট। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ স্থানীয়ভাবে অনেকে গড়ে তুলেছেন ছোট ছোট পর্যটন স্পট। দেখলে যেন মন জুরিয়ে যায়। প্রকৃতির ছোঁয়া, হিমেল বাতাস এবং মেঘের বিশাল রাশি মালা ও সকালের কুয়াশা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে বিনোদনের জন্য ছুটে আসে পর্যটক প্রেমিকরা। সাজেক ভ্যালি পর্যটকদের মন কেড়ে নিতে পর্যটন স্পটগুলো সাজিয়েছে মনমাতানো।

সাজেক ভ্যালির স্থানীয়রা বলেন, সাজেক ভ্যালি হতে পারে বাংলাদেশের বিখ্যাত পর্যটন নগরী। সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এটি হবে বাংলাদেশের দাজিলিং। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বৃহত্তর সাজেক ইউনিয়নে আন্তর্গত সাজেক ভ্যালিকে পরিপূর্ণ পর্যটন নগরীতে গড়ে তোলা হলে বাংলাদেশের মানুষ পর্যটন ভ্রমণে আর দেশের বাহিরে যাবে না কেউ। এখানে ইতিমধ্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদ, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ বিভিন্ন লোকজন ব্যক্তি মালিকানায় পর্যটক সাদরে ছোট ছোট রিসোর্ট গড়ে তুলেছেন।

স্থানীয় এরিন্টা ত্রিপুরা বলেন, সাকেজ ভ্যালি থেকে সামান্য দূর পায়ে হাতে গেলেই সীমান্তবর্তী ভারতের মিজোরাম। বাংলাদেশ সরকার বনাম ভারত সরকার সফল উদ্যোগ নিলে দু’দেশের মধ্যে টানজিট পয়েন্ট তৈরি করে পর্যটকদের ভ্রমণে একদাপ এগিয়ে যাবে সাজেক ভ্যালি। পর্যটকদের পরিধি আরো গতিশীল করতে হলে এখানে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর মত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। রাস্তা ঘাট, বিদ্যুৎ, পানির সুব্যবস্থাসহ পর্যটন খ্যাতকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে। সরকার সাজেক পর্যটন নিয়ে মহা পরিকল্পনা করতে হবে। তখনই সাজেকের পর্যটন থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে।

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক আমির আলী বলেন, সাজেকে আমি এই প্রথম বেড়াতে আসলাম। সাজেকের পরিবেশ আমার ভাল লেগেছে। সাজেক হতে পারে নেপাল ও মালেশিয়া। সাকেজকে যদি পর্যটন নগরীতে সাজানো হয় তাহলে মানুষ কষ্ট করে আর বিদেশে যাবে না। এমনটিই আমার মনে হয়েছে। এখানে প্রথমত রাস্তা-ঘাট, নিরাপত্তা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পানির সমস্যা সমাধান করতে হবে। এসব বিষয়ে সরকার সু নজর দিলে সাজেক হবে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির পর্যটন নগরী।

সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন জানান, সাজেক পর্যটন স্পট গুলো নিয়ে সরকারের সুদূর প্রসারি পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। সাজেকের রাস্তা ঘাট গুলো সমতলের ন্যায় হলে এখানে আর দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকবে না। এখন মানুষ রাস্তা ঘাটে দুর্ঘটনার ভয়ে অনেকে সাজেকে যেতে চাইছে না। বর্তমানে সাজেকে বেসরকারিভাবে একশ থেকে দেড়শ পর্যটন রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে। এসব রিসোর্ট গুলো সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানয়। বর্তমানে সাজেকে যে হারে পর্যটক যাচ্ছে সেখানে সরকার চাইলে পাঁচতারা মানের সুপারস্টার আবাসিক হোটেল নির্মাণ করতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক কিছু করার আছে। আপনারা বর্তমানে ছোট ছোট যে সকল রিসোর্ট দেখছেন তাতে প্রতিদিনই পর্যটক আসা যাওয়া করছে।

রাঙামাটি পর্যটক হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, পর্যটকেরা অনেকেই এখন সাজেক ভ্যলীতে যাচ্ছে। পর্যটন আকর্ষণে সাজেক এ নতুন নতুন উন্নতমানের রিসোর্ট গড়ে তোলা উচিৎ বলে মনে করি। তবে জানিনা সাজেক ভ্যালি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা। পার্বত্যাঞ্চলে সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে পর্যটন খ্যাকে আরো ঢেলে সাজাতে হবে।

ওডি/এফই

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড