কাজী কামাল হোসেন, ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
এসিআই কোম্পানি কর্তৃক কৃষকদের মাঝে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে নওগাঁয় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা কম্বাইন হারভেস্টার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক (নওরোজ) লিখিত বক্তব্যে বলেন, এসিআই কোম্পানি হারভেস্টার মেশিন কেনার আগে যে প্রতিশ্রুতিগুলো দেয় তা পরবর্তীতে আর বাস্তবায়ন করে না। মেশিন কেনার আগে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের চপিং ইউনিট পার্টস দেওয়ার কথা থাকলেও তা পরবর্তীতে আর দেওয়া হয় না। এমনকি ২ বছরের ফ্রি সার্ভিস দেওয়ার কথা থাকলেও তাও দেওয়া হয় না। এ ছাড়া ৬শ’ ঘণ্টা চলার পর মেশিন আর চলে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, এ কারণে কৃষকরা ভর্তুকিতে এই মেশিন কিনে যেমন লোকসানের মুখে পড়েছেন অপরদিকে সরকার যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে লাখ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের মেশিন প্রদান করছেন সেগুলোর একটিও আলোর মুখ দেখছে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। সরকারের ভর্তুকি দেওয়া এই ধান কাটার মেশিন কিনে এখন কৃষকরা দিশেহারা। বর্তমানে এই মেশিনগুলো জেলার ৫৬ জন কৃষকের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। অনেকেই মেশিন কিনে ব্যবহার করতে না পারার কারণে সময়মতো কিস্তি দিতে পারছেন না। আবার কিস্তির টাকা দিতে না পারলে পুলিশি হয়রানির শিকার করা হচ্ছে কৃষকদের। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিসকে লিখিতভাবে একাধিকবার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
কাজেই সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানকল্পে কম্বাইন হার্ভেস্টার মালিকগণ তাদের ক্রয়কৃত মেশিন সফলভাবে মাঠে ব্যবহার করে দেশ ও কৃষকের উপকার করতে পারে এবং বর্তমান প্রজন্ম যাতে কৃষি যান্ত্রিকিকরণ করতে বর্তমান সরকারের যে বৃহৎ পরিকল্পনা তাতে পাশে দাঁড়াতে পারে সেই লক্ষ্যে হারভেস্টার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি সংবাদ সম্মেলনে ৫টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে এসিআই কোম্পানির দায়িত্বরত মার্কেটিং কর্মকর্তা শামীম হোসেন মুঠোফোনে দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘আমরা সরকারের সাথে সম্পন্ন হওয়া চুক্তি মোতাবেকই মেশিন প্রদান করেছি। কিছু কুচক্রী মহল সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই ধরনের উদ্দেশ্যমূলক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’
আরও পড়ুন : রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির ‘মুক্তির রণকাব্য’ ম্যুরাল উদ্বোধন
তবে বিষয়টিতে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সামছুল ওয়াদুদ বলেন, সমিতির এই দাবি সঠিক নয়। কোম্পানির লোকেরা ওইসব মেশিন মালিকদের কাছ থেকে টাকা চাইতে গেলেই তারা বিভিন্ন রকমের টালবাহানার আশ্রয় নিচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি দেশের বিভিন্ন এলাকাসহ নওগাঁয় যে মেশিনগুলোর প্রদান করা হয়েছে সেগুলোর কোনো সমস্যা নেই।
ওডি/নিলয়
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড