শফিউল আজম, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মু. মোহসিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশে বিদ্যুৎ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। গ্রাহকদের মাঝে সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। মুজিববর্ষে ৯৯ শতাংশ বিদ্যুৎতায়ন করতে সরকারি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে পিকিং প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে দেশে বিদ্যুৎ সেক্টরে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে; জনগণ এর সুফল পাচ্ছে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পটিয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের এপিএ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি-রফতানি বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসছে। এর মাধ্যমে উভয় দেশ বিদ্যুৎ সুবিধা লাভ করবে। পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ঘরে ঘরে স্মার্ট ও প্রি-পেইড মিটার পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
অপরদিকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত গ্রাহকরা বাড়ি-ঘরের উপর দিয়ে নেওয়া, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের লাইন অপসারণ, সেচের ট্রান্সফরমার ও মিটার নষ্টের ক্ষেত্রে বিনা ফি’তে সেবা প্রদান, মিটারের চেয়ে বাড়তি বিলের হয়রানি না হওয়া, বিদ্যুৎ লাইনে কভার লাগানো, প্রি-পেইড মিটার স্থাপন, পাওয়ার ফ্যাক্টর মাসুল না নেওয়া, সোলার স্থাপন, ঝড় বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, নিয়মিত মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল সঠিকভাবে দেওয়াসহ নানা দাবি উত্থাপন করেন।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আবু বকর সিদ্দিকীর স্বাগত বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পটিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম, পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, পল্লী বিদ্যুৎ চট্টগ্রাম দক্ষিণের নির্বাহী প্রকৌশলী উত্তম কুমার সেন, বোয়ালখালী জোনাল অফিসের জিএম মো. এমরান গণি, ডিজিএম (কারিগরী) প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, ডিজিএম লোহাগাড়া মো. সরওয়ার জাহান, ডিজিএম চন্দনাইশ মো. আবু সফিয়ান, এজিএম (অর্থ) মো. শামীম খান, এজিএম মো. ফারুক হোসেন, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. কামরুল হাসান, হিমেল কুমার সাহা, মো. ইব্রাহিমসহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন কর্মকর্তা। এ সময় দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৮টি উপজেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, একসময় দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। জেনারেশন, ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগের সমন্বয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সাফল্যের কারণে দেশে কৃষি ও বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে বিপ্লব সাধিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের নির্দেশ
সারাদেশে ৪ কোটি ১৮ লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে দেশে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা ৩ কোটি ১৮ লক্ষ। বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার দিক থেকে সরকার স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আছে। ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ শেখ হাসিনার উদ্যোগ’ এ স্লোগানে সরকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তর করছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সারাদেশে আলোর ফেরিওয়ালা ও আলোর গেরিলা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভাগের এক অভুতপূর্ব সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য তিনি পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ডে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
ওডি/এএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড