সারাদেশ ডেস্ক
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল পদে আসতে রাজাকার সৈয়দ আবু সাঈদের নাতি ও পৌর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা সৈয়দ রফিকুল ইসলামের ছেলে অভিযুক্ত সৈয়দ রাফসান জানি অভি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে দৌড়ঝাপ চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ৩১ জুলাই ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকে জেলা নেতাদের কাছে দায়িত্বশীল পদে আসিন হওয়ার জন্য ছুটে চলছে সৈয়দ রাফসান জানি অভি।
অভির বাবা গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলার মূল আসামি (বর্তমানে উচ্চ আদালতে অগ্রীম জামিনে আছেন) এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত।
এছাড়া অভির দাদা পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের পিতা সৈয়দ আবু সাঈদ ১৯৭১ সালে রাজকার এর ভূমিকায় ছিলেন যার জন্য দালালী আইনে জেল খেটেছেন।
অভির আপন চাচা জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা শুভ্র হত্যা মামলার আসামী (বর্তমানে উচ্চ আদালতে জামিনে আছেন)। তাছাড়া সৈয়দ রাফসান জানি অভি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শুভ্র হত্যা মামলার চার্জশীট গঠন হওয়ার পরদিন মামলার বাদী শুভ্রর ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্তকে হত্যা চেষ্টায় তার উপর আক্রমণ চালায় যার জন্য গৌরীপুর থানায় তার নামেও মামলা হয়।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক প্রভাবশালী নেতার সাথে সম্পর্ক রেখে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে গৌরীপুর উপজেলা/পৌর ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল পদে আসার জন্য প্রতিনিয়ত লবিং করে যাচ্ছে সৈয়দ রাফসান জানি অভি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, এমন সন্ত্রাসী পরিবারের সন্তান যদি ছাত্রলীগে যায়গা পায় তাহলে দলের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। এতে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই এমন বিতর্কিত ব্যাক্তিকে দলে জায়গা না দেওয়ায় শ্রেয় বলে মনে করছি।
তবে এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সৈয়দ রাফসান জানি অভির সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ওডি/
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড