ভিডিয়ো ফাঁসের ভয় দেখিয়ে ৯ মাস ধরে ধর্ষণ!

প্রত্যয়নপত্র নিতে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন উপজেলার ন্যাশনাল সার্ভিসের এক কর্মী। আবার সেই ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিয়ো ফাঁসের ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে টানা ৯ মাস ধরে ধর্ষণ করা হয়। এমন অভিযোগে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকালে দৈনিক অধিকারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লেংগাবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুর রহমান বাদল লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মৌজা মালীবাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় লেংগাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

মামলার বরাতে ওসি (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান জানান, চলতি বছরের ৩ মার্চ সদর উপজেলায় কর্মরত ন্যাশনাল সার্ভিসের ওই গৃহবধূ প্রত্যয়নপত্র আনতে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান। এ সময় পরিষদের চেয়ারম্যান বাদল তাকে নিজ কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিয়ো ফাঁসের ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে জিম্মি করে দীর্ঘ নয় মাস ধরে ধর্ষণসহ নির্যাতন করে আসছিলেন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ নভেম্বর ওই গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে যান চেয়ারম্যান। এরপর ওই গৃহবধূর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওসি জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন : স্বামীর ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে গেল নুপুরের মুখ

এ দিকে বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। একই দিন গ্রেপ্তার বাদলকে আদালতে হাজির করা হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩ জুন একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল। সেই মামলায় কয়েক মাস কারাভোগ শেষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি।