সাভার প্রতিনিধি
ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ঢাকার সাভারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান (৩২) হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) গভীর রাতে সাভারের রাজাশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থানার আজাদ শরীফ (২৯) ও সাভারের ডগরমোড়া এলাকার রনি ওরফে ডগি রনি (৩০)।
বিষয়টিতে র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার উনু মং বলেন, উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা পেশাদার ছিনতাইকারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রাক্তন শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
এর আগে গত শনিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে সাভারের শিমুলতলায় বাস থেকে নামামাত্রই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৯ সালের স্নাতকোত্তর ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান।
রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানার নওয়াপাড়া গ্রামের ছেলে মোস্তাফিজুর সাভারে গ্লোরিয়াস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। থাকতেন ঘটনাস্থলের অদূরে ডগরমোড়া মহল্লায়।
স্ত্রী খাদিজা বেগম ও এক বছরের ছেলে মুসাকে নিয়ে সাভারে বসবাসের জন্য বাসাও ভাড়া করেছিলেন তিনি। তবে আসার দিন সন্তানের জ্বর থাকায় পরিবার ছাড়াই ঢাকার পথে রওনা দেন মোস্তাফিজুর।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গ্রাম থেকে ধার-দেনা করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে এসেছিলেন মুস্তাফিজ। ছিনতাইকারীরা সেই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পর তাদের পিছু নেন তিনি।
ঘটনাস্থলের পাশে একটি সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, তিন ছিনতাইকারী তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ছিনতাই করে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
ওই ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে তৎপর হয় সাভার মডেল থানা পুলিশ, র্যাব ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরই ধারাবাহিকতায় হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন নিহতের বাবা মজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন : সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের পোস্ট দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা
তিনি জানান, ঢাকায় আসার গাড়ি ভাড়াও ছিল না তাদের সঙ্গে। রাজশাহীর পুলিশ সুপারের সহায়তায় তিনি ঢাকায় এসেছেন। ভীতকণ্ঠে নিহতের বাবা বলেন, ‘আমি চাই আর কোনো বাবা যেন আমার মতো সন্তানহারা না হয়। পুলিশকে বলেছি, আপনারা ব্যবস্থা নেন। খুনিদের যেন দ্রুত ধরা হয়, যেন উপযুক্ত বিচার হয়। আমার মতো এভাবে সন্তান হারানোর কষ্ট যেন অন্য বাবাদের না হয়।’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড