ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে সড়ক-মহাসড়কে খানাখন্দ,যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।তাদের অভিযোগ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারের পর বছর না ঘুরতেই পাল্টে যায় চেহারা।
নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহারের ফলে ও কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততায় সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে। এতে এক দিকে পথচারীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অন্য দিকে যানবাহনও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, গত প্রায় এক বছর আগে ফেনী- সোনাইমুড়ি ৭০ কিলোমিটারের সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সড়কটির কার্পেটিং উঠে আগের চেহারায় ফিরে গেছে।
ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে দেবে গিয়ে পানি জমে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। একই চিত্র ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কেরও। কিছু দিন পরপরই সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের লোকজনকে মেরামতের কাজ করতে দেখা যায়।
শহরের জেলা হেডকোয়ার্টারে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হাজারী রোডের বেহাল দশা। গ্রামীণ সড়কের অবস্থা আরও করুণ। একটু বৃষ্টি হলে এসব সড়কের চিত্র পাল্টে যায়। জেলাজুড়ে নতুন নতুন অসংখ্য সড়ক প্রতি বছর নির্মাণ হলেও সুফল পাচ্ছে না গ্রামবাসী। নতুন সড়ক পাওয়ার আনন্দ বছর না ঘুরতেই ফিকে হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের কোথাও কোথাও গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। ফলে গর্ত দেখা যায় না। এসব স্থানে ছোট-মাঝারি যান গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ফলে চরম দুর্ভোগে আছে সড়কটি ব্যবহারকারী সবাই।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, মান ঠিক রেখে কাজ করলে এত তাড়াতাড়ি সড়ক খারাপ হওয়ার কথা নয়। মূলত সড়ক সংস্কারের নামে এখানে সরকারি অর্থ লুটপাট হয়েছে। এ কারণে সড়কগুলো বেশি দিন টিকছে না। বছর জুড়ে খানাখন্দ ভরাট করে কোনোমতে সড়কটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী রাখছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।
পরিবহন সমিতি সূত্র জানায়, ফেনী-সোনাইমুড়ি সড়কে প্রতিদিন তিন হাজারের অধিক ছোট, মাঝারি ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিয়ে সরকার যতটুকু অগ্রাধিকার প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে যে সুফলের আশা করছে তার চেয়ে ফেনী-সোনাইমুড়ী বিকল্প বিশ্বরোড নিয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
সওজ সূত্র জানায়, শহরতলীর সড়কটি তেমুহনী থেকে বিরলী, রাজাপুর, সিন্দুরপুর, দরবেশেরহাট, গাজিরহাট, কানকিরহাট, সোনাইমুড়ী হয়ে গৌরীপুরের সাথে মিশেছে। সরকার সড়কটিকে বিকল্প বিশ্বরোড হিসেবে ঘোষণা দিলেও নোয়াখালীর সীমানা পর্যন্ত কিয়দংশ বর্ধিত আকারে প্রশস্তের কাজ হয়েছে।
ফেনীর সীমানা থেকে তেমুহনী পর্যন্ত এই সড়কটির মেরামত বা প্রশস্তের কাজ তদবিরে এবং জায়গা অনুপাতে কিছু জায়গায় মেরামতের ও প্রশস্তের কাজ হলেও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় সংস্কারের কাজ হচ্ছে না। বিরলী ব্রিজের পূর্ব মাথায় বিরলী বাজার প্রায়ই ধ্বংসের মুখোমুখি এবং বাজারের ধারে ছোট ফেনী নদী প্রবাহিত হওয়ায় বাজারটি যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে।
ফেনী-সোনাইমুড়ী সড়কটির দাগনভূঞার গনিপুর গ্রামের অংশে ছোট ফেনী নদী। রাস্তার এমন বিপজ্জনক অবস্থায় যেকোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জেলার তেমুহনী থেকে দরবেশেরহাট পর্যন্ত খানাখন্দকের সাত কোটি টাকার কাজ হয়েছে। তবে সড়কটি ১২ফিটের স্থলে ১৮ ফিট করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ জানান, ফেনী-সোনাইমুড়ী সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে কার্যাদেশ দেয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড