মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় মো. সালাউদ্দিন (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নানি বাদী হয়ে সালাউদ্দিনকে আসামি করে শিবচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার রূপসা গ্রামের সোবাহান মাদবরের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শিবচর উপজেলার মাদবরচর ইউনিয়নের সাড়ে এগার রশি লপ্তিকান্দি গ্রামের ওমান প্রবাসীর ওই শিশু কন্যা তার নানির বাড়িতে থেকে স্থানীয় খাড়াকান্দি নূরুল কুরআন মহিলা মাদরাসায় লেখাপড়া করত। অভিযুক্ত সালাউদ্দিন তাদের দু:সম্পর্কের আত্মীয় এবং সে একই এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করত।

একই এলাকায় থাকার সুবাদে সালাউদ্দিন ওই শিশু ছাত্রীর বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া করত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ জুলাই ওই ছাত্রীকে সালাউদ্দিন বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই সময় ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সে।

এরপর গত ১৫ জুলাই আবারও ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সালাউদ্দিন। পরবর্তীকালে আবারও গত ২৯ জুলাই সালাউদ্দিন তৃতীয়বারের মতো ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই দিনই শিশুটি তার নানিকে বিষয়টি জানায়। এরপর তার নানি ঘটনাটি তার মাসহ নিকট আত্মীয়দের জানালে সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই শিক্ষার্থীর নানি বাদী হয়ে সালাউদ্দিনকে আসামি করে শিবচর থানায় একটি মামলা করেন।

একপর্যায়ে মামলার পর পুলিশ বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন : ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে প্রাণ গেলে কৃষকের

শিবচর থানার এসআই বিষ্ণপদ হীরা দৈনিক অধিকারকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করে শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম আজাদ দৈনিক অধিকারকে বলেন, অভিযোগ পেয়ে ধর্ষক সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলেছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।