যশোর প্রতিনিধি
শিশু উন্নয়নকেন্দ্রের তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যাসহ ১৫ জন আহতের ঘটনায় যশোরে দায়ের করা মামলায় আরও ৮ ‘বন্দি’ কিশোরকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ আগস্ট) মামলার ৫ সাক্ষীর আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ওই ৮ কিশোরের নাম সামনে আসে। ফলে পুলিশ এই হত্যা মামলায় ৫ আসামির সাথে আরও ৮ জনের নাম যোগ করেছে। এ নিয়ে মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩। ৮ বন্দির মধ্যে সাতজনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
এর আগে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কসহ ৫ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামান রবিবার (১৬ আগস্ট) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নতুন করে যুক্ত ৮ কিশোর আসামিরা হলো- গাইবান্ধা সদর উপজেলার জোদ্দকুড়ি সিং (বানপাড়া) এলাকার আমজাদ আলীর ছেলে খলিলুর রহমান তুহিন, নাটোরের সিংড়া উপজেলার জোড় মল্লিক গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে হুমাইদ হোসেন, পাবনার বেড়া উপজেলার সান্যালপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার ছেলে ইমরান হোসেন, একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মনোয়ার হোসেন, রাজশাহীর মতিহার থানার কাজলা গ্রামের তজিবরের ছেলে পলাশ ওরফে শিমুল, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চাপুভেলা কোপা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রিফাত আহেমদ রিফাত, নাটোর উপজেলার কামারদিয়া গ্রামের কামাল জোয়ার্দারের ছেলে মোহাম্মদ আলী এবং চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার বাসিন্দা আনিস।
এ দিকে, কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে গত ১৩ আগস্টের ঘটনাটির সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছে সমাজসেবা মন্ত্রণালয় গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) যুগ্ম সচিব সৈয়দ নুরুল বসির এবং সদস্য উপরিচালক (প্রতিষ্ঠান-২) এম এম মাহমুদুল্লাহ রবিবার যশোর জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং সেখানে ভর্তি আহত ‘বন্দি’ কিশোরদের সাথে কথা বলেন। এরপর তারা পুলেরহাটের শিশু উন্নয়নকেন্দ্রে যান। সেখানকার স্টাফ ও অপর বন্দিদের সাথেও তারা কথা বলেছেন। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি আছে কিনা বা অতীতে হয়েছে কিনা তারও তদন্ত করছে উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি।
সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই দুই কর্মকর্তা রবিবার রাত পর্যন্ত উন্নয়নকেন্দ্রে তদন্তের কাজ করেছেন।
অন্যদিকে, রবিবার আটক আরও ৭ ‘বন্দি’ কিশোরকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : সিনহা হত্যা : গণশুনানিতে ৯ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ
বিষয়টিতে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৭ ‘বন্দি’ কিশোরকে আদালতে দেখতে চাওয়ায় তাদের হাজির করা হয়। এদের মধ্যে অনেকে জানিয়েছে, “ঘটনার দিন ‘পিসি’ স্যার লাঠি নিয়ে আসে। আর আনসার সদস্য ও এডি স্যাররা বন্দিদের পেটায়। পরে তারা আহত হলে আমাদের যার যার ডরমেটরিতে যেতে বলে। আমরা সেই হুকুম পালন করেছি। আমার কাউকে মারিনি।”
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড