অভিনব কৌশলে ট্রাক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

চালককে নেশাজাতীয় ওষুধ খাইয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অচেতন অবস্থায় সাদা কাগজে ও চেকে স্বাক্ষর করিয়ে ট্রাক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় চালক মিজানুর রহমানের মা মালেকা বেগম বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মালেকা বেগমের ছেলে মিজানুর একজন ট্রাক চালক। গত ছয় থেকে সাত মাস ধরে তার ছেলে উপজেলার মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ইয়াকুব আলী ও একই গ্রামের মকবুলের ছেলে বিল্পবের সঙ্গে শেয়ারে ট্রাকের ব্যবসা করছেন। ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ৩১ জুলাই মিজানুর রহমানকে নেশাজাতীয় ওষুধ সেবন করিয়ে সাদা কাগজে ও চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে দইখাওয়া চিড়ার মিল এলাকায় অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন মিজানুরকে অচেতন অবস্থায় দেখে পরিচয় জেনে তার পরিবারকে মুঠোফোনে সংবাদ দেয়।

একপর্যায়ে খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থল থেকে মিজানুরকে উদ্ধার করে। পরবর্তীকালে ইয়াকুব আলী ও বিল্পব ভাড়া করা লোকজনের মাধ্যমে উপজেলার দোয়ানী মোড়ে মিজানুরকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন করে তার ট্রাকটি ছিনিয়ে নেয়। ট্রাকটি বর্তমানে শ্রমিক নেতা সহিদুল ইসলাম ওরফে মাথাফাটার হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকটি উদ্ধারে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন অভিযোগকারী মালেকা বেগম।

এ দিকে, ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী ও বিল্পবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নেশাজাতীয় ওষুধ খাইয়ে সাদা কাগজে ও চেকে স্বাক্ষর ও ট্রাক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

অন্যদিকে, শ্রমিক নেতা সহিদুল ইসলাম ওরফে মাথাফাটা দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘ছিনতাই নয়, ট্রাকটি আমার হেফাজতে রয়েছে।’ এ সময় মিজানুর রহমানের সাথে তার কোনো লেন-দেন রয়েছে কিনা এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তার সাথে আমার কোন লেনদেন নেই। পূর্বে একটি লেনদেন ছিল, তা আমি মওকুফ করে দিয়েছি।’

আরও পড়ুন : গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, ভাসুর-জায়ের ৫ দিনের রিমান্ড

অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’