সিনহা হত্যা : সহকর্মীর গালে চড় মারা সেই ওসি প্রত্যাহার

পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনার জেরে সহকর্মীর গালে চড় মেরে আলোচনায় আসা বরগুনার বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস আলী তালুকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরের দিকে এএসআইকে নজরুল ইসলামকে চড় মারার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে তাকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তদন্ত কমিটির প্রধান মো. মফিজুল ইসলাম ওসিকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত রবিবার (৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নজরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তাকে হত্যার পর তার গাড়িতে থাকা তথ্যচিত্র নির্মাণের সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং পরে শিপ্রা রানী দেবনাথকে আটক করে পুলিশ। তারা উভয়ে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেওয়া হয়েছে।

একপর্যায়ে সিফাতের মুক্তির দাবিতে তার নিজ জেলা বরগুনার বামনা উপজেলায় শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় সিফাতের সহপাঠীরা মানববন্ধন শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। ওই মানববন্ধনে মাইক কেড়ে নিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে বামনা থানা পুলিশ। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করতে দেরি হওয়ায় এএসআই নজরুলকে প্রকাশ্যে চড় মারেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস আলী তালুকদার। এতে সর্বত্রই সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই লাঠিচার্জের ঘটনায় প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়।

আরও পড়ুন : সিনহা হত্যা : তিনজন গ্রেফতার

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, এএসআইকে চড় মারার ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাই আমাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে প্রত্যাহারসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বরিশালের ডিআইজি অফিসের এক চিঠির মাধ্যমে বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়।