• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

  শরীয়তপুর প্রতিনিধি

২২ জুলাই ২০২০, ০৯:১৮
শরীয়তপুর
১০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল শরীয়তপুর

কোন ডাক্তার আমার মাকে ধরে দেখে নাই। দূর থেকে দেখে কতগুলো টেস্ট করতে দেয়। আমার মা নিচ তলা থেকে উপর তলা উঠা নামা করাতে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। ডাক্তারের অবহেলায় আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

মায়ের মৃত্যুতে ২১ জুলাই মঙ্গলবার রাতে এমনি অভিযোগ করেন শরীয়তপুর জেলা দায়রা জজ কোর্টের পেশকার আমিনুল ইসলাম হিরণ।

তিনি দৈনিক অধিকারকে বলেন, রোগীর অবস্থা সিরিয়াস দেখে ২১ জুলাই দুপুর ১১ টার দিকে হাসপাতালের বড় ডাক্তার আরএমও সুমন কুমার পোদ্দারের কাছে মাকে নিয়ে যাই। তিনি পি,পি,ই পড়া থাকা স্বত্তেও আমার মাকে ধরে দেখে নাই। আমাদের তাড়াতাড়ি জরুরী বিভাগের ডাক্তার দেখাতে বলেন। জরুরি বিভাগের একটা লোক ডাক্তারের কথা বলে আমাদের হাসপাতালের ২য় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে একজন ডাক্তার আমার মাকে দূর থেকে দেখেই কয়েকটা টেস্ট দিয়ে দেন। আমার মাকে নিয়ে উপর তলা, নিচ তলা ঘুরাঘুরি করাতে মা ক্লান্ত হয়ে হাসপাতালের ফ্লোরে বসে পরেন। তারপর জরুরি বিভাগের ডাক্তার নাসরিন আমার মাকে দেখে একটা ইসিজি করে আনতে বলেন। আমি বাহির থেকে ইসিজি করে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন। আমার মায়ের মৃত্যু ডাক্তারের অবহেলার কারণে হয়েছে।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালে আরএমও ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, আমার কাছে রোগীকে ট্রলিতে করে নিয়ে এসেছিলো। রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে আমি তাড়াতাড়ি জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে যেতে বলি। কর্তব্যরত চিকিৎসকের কথা জানতে চাইলে তিনি চিকিৎসকের নাম বলতে পারেনি। তিনি বলেন কে ছিলো, তার নাম ও চিকিৎসকের অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

রোগীর সাথে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, হাসপাতালের ডাক্তারের অবহেলার কারণে নারী রুগীটির মৃত্যু হয় বলে জানান।

মৃত্য নারী জেলার গোসাইরহাট ইউনিয়নের নাগেরপাড়া গ্রামের আজগর আলী মাস্টারের স্ত্রী নাজনীন নাহার (৫৫)।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নাসরিন বলেন, আমি রোগীকে দেখে। সাথে সাথে ইসিজি করতে বলি। তিনি স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন।

জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার নাসরিন বলেন, আমার কাছে আসার ১ সেকেন্ডের ভেতর চিকিৎসা দিয়েছি। রোগীর খারাপ অবস্থা দেখে ইসিজি করে দেখি, তিনি স্ট্রোকের কারণে মারা গেছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহমেদ খান দৈনিক অধিকারকে বলেন, রোগীর স্বজনদের কথায় জানতে পারলাম তারা রোগীকে হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সুমন কুমার পোদ্দারের কাছে দেখাতে নিয়েছিলেন। তিনি না দেখে জরুরি বিভাগের ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দেয়। জরুরি বিভাগে কি হয়েছিলো এ বিষয়ে ডাক্তার সুমন কুমার পোদ্দার ভালো বলতে পারবে।

এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন এস.এম. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, আমি এব্যাপারে জানি না। বিষয়টি ভালো করে জেনে ব্যবস্থা নিবো।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড